ভারত-নেপাল সীমান্তের ধাঁচুলায় নতুন রহস্যময় গুহা, উদ্ধার হাজার হাজার মানব কঙ্কাল
New mysterious cave in Dhanchula on India-Nepal border, thousands of human skeletons recovered

Truth Of Bengal: হিমালয়ের অন্ধকার গহ্বরে একটি ভয়াবহ আবিস্কারের ঘটনা ঘটেছে। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধাঁচুলায় নতুনভাবে আবিষ্কৃত একটি গুহায় হাজার হাজার মানব কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে।
গার্ব্যাং গ্রামের নিকটে, পবিত্র আদিকৈলাশ পথের পাশে এবং পেঁচানো কালীনদীর কাছাকাছি অবস্থিত এই গুহাটি ইতিহাসের কিছু জটিল রহস্য উন্মোচনের সম্ভাবনা রাখে। সাম্প্রতিক একটি খননের সময় এই বিস্ময়কর আবিষ্কারটি ঘটে, যা ৮ম শতাব্দীর আগেরও হতে পারে। এই অঞ্চলটি ইতিমধ্যে রূপকুণ্ড ও মালারির মতো কঙ্কাল আবিষ্কারের জন্য পরিচিত।
বিশেষজ্ঞরা এখন ধারণা করছেন যে, এই নতুন গুহাটি প্রাচীন তিব্বতী বোন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা আদিশঙ্করাচার্যের প্রভাবের পূর্ববর্তী সময়ে প্রভাবশালী ছিল। গবেষকরা এই কঙ্কালগুলোর পেছনের রহস্য উন্মোচনের জন্য বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, যেমন কার্বন ডেটিং এবং ডিএনএ পরীক্ষা, করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রাথমিক তদন্তের তথ্য
প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল দেখাচ্ছে যে, গুহার সঙ্গে বোন ধর্মের শেষকৃত্য প্রথার সম্পর্ক থাকতে পারে, যা প্রাচীন হিমালয় সভ্যতার আধ্যাত্মিক জীবনের একটি ঝলক দেখায়। স্থানীয় গুজব অনুযায়ী, বুঢ়ি গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার উপরে আরও একটি গুহার কথা শোনা যায়, যেখানে মানব অবশেষ থাকতে পারে, কিন্তু সেই স্থানটির বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এখনও হয়নি।
গুহার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ১৯০১ সালে প্রথম উল্লেখের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়, যখন সুইস গবেষক আর্নল্ড হেইম এবং অগাস্ট গ্যান্সার এই অঞ্চলে আসেন এবং তাদের অনুসন্ধানগুলির বিস্তারিত বর্ণনা করেন ‘ওয়েস্টার্ন টিবেট এবং দ্য ব্রিটিশ বর্ডারল্যান্ড’ নামক গ্রন্থে। তারা চাংরু গ্রামের কাছে একটি গুহার কথা উল্লেখ করেন, যা মানব কঙ্কালে পূর্ণ ছিল।
এই গুহার চারপাশে অভিশাপ ও অজানা গায়েব হওয়ার কাহিনী প্রচলিত আছে, যা নতুন করে ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের আকৃষ্ট করছে। গুহার অবস্থান, চাংরু গ্রামের উপরে একটি ঢালু, একটি সংকীর্ণ প্রবেশপথের মাধ্যমে একটি লুকানো জগতের দিকে নিয়ে যায়। এই আবিষ্কারটি কেবলমাত্র শুধু প্রাচীন অধিবাসীদের পরিচয় উন্মোচন করবে না, বরং তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করবে।
গার্ব্যাং অঞ্চলের পাশাপাশি, স্থানীয়রা বুঢি এবং দারমা ও ব্যাস উপত্যকার আশেপাশে অনুরূপ গুহাগুলির সন্ধান পেয়েছেন। তিব্বত বিশেষজ্ঞ এস.এস. পাঙ্গতির মতে, এই অঞ্চলে বহু গুহা রয়েছে, তবে এখনো কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। স্থানীয় লোককথা এবং মৌখিক ইতিহাসগুলি এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি মানব উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।