অফবিটআন্তর্জাতিক

মেঝেতে শুয়ে কোম্পানির বসকে স্বাগত, কর্মচারীদের কান্ডে অবাক নেটপাড়া, ভাইরাল ভিডিও

Netizens are surprised by employees' act of welcoming boss lying on the floor, viral video

Truth Of Bengal: সম্প্রতি একটি চীনা ফাইন্যান্স ফার্মে কাজ করার বিষাক্ত পক্রিয়ার ভিডিও সামনে এসেছে। যা রীতিমত চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির বসকে স্বাগত জানাতে অফিসের মেঝেতে শুয়ে আছে কর্মচারীরা।

ভিডিওতে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে অবস্থিত একটি ইনস্টিটিউটের প্রায় ২০ জন কর্মচারীকে করিডোরের মেঝেতে তাদের মুখ নীচের দিকে রেখে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সঙ্গে দেখা গিয়েছে স্বাগত জানাতে তারা স্লোগানও দিচ্ছে।

কর্মচারীরা মুখ তুলে চিৎকার করে বলছে, “কিমিং শাখার বস হুয়াংকে স্বাগত জানায়! জীবন থাকুক বা না থাকুক, আমরা আমাদের কাজের মিশনে ব্যর্থ হব না।”

তবে ২ ডিসেম্বর কোম্পানির আইনী প্রতিনিধি লিউ এই ঘটনাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এধরনের স্বাগত অনুষ্ঠানে হুয়াং কখনই অংশ নেননি। তিনি বলেন, “এই ভিডিওটি কোম্পানির উপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই ভিডিওর বিষয়বস্তু সম্পাদিত করা হয়েছে।” লিউ আরও বলে, ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা দল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে  এবং এখন তারা কোম্পানিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার ভিডিওটির সত্যতা ও কোম্পানির নীতিমালা তদন্ত করছে। চীনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনাটি দ্রুততার সঙ্গে বহু মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। আট মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। ভিডিওতে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই ধরনের কোম্পানির নীতি কর্মীদের মর্যাদা পদদলিত করে।”

অন্য এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন, তাই আমাদের সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিত নয়। যাইহোক, এটি কিছু বিষাক্ত কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতিকে হাইলাইট করে, যেমন নেতাদের স্বাগত জানাতে হাঁটু গেড়ে বসে থাকা বা তাদের সাথে মদ্যপানে বাধ্য করা।”

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় চীনের কোম্পানির উদ্ভট নিয়মকানুন উঠে আসছে। এর আগে গত বছর একজন বেনামী কর্মচারী রিপোর্ট করেছিলেন যে, কিভাবে তার কোম্পানি কর্মীদের প্রতি মাসে ১৮০,০০০ ধাপ হাঁটতে বলেছিল, আর তার অন্যথায় জরিমানা দিতে হবে বলেছিল। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আরেকটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল, যেখানে চিনের একটি আর্থিক কোম্পানি তাদের সাতজন কর্মচারীকে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য শাস্তি স্বরূপ দু’ব্যাগ “মরিচের লাঠি” খাইয়েছিল।

Related Articles