
The Truth of Bengal, Mou Basu: নেপাল থেকে শিক্ষা নিতে পারে ভারত। উৎসব মানে আনন্দ উদযাপন করা। কিন্তু আপনার আনন্দ যেন অন্য কারোর বিশেষ অবলা পশুপাখির নিরানন্দের কারণ না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পরম্পরা মেনে বিভিন্ন উপায় পালন করা হয় আলোর উৎসব দিওয়ালি বা দীপাবলি। একই ভাবে পড়শি দেশ নেপালেও দিওয়ালি পালন করা হয় ধুমধাম সহকারে। সেখানে আবার এই উৎসবকে তিহার বলা হয়। নেপালে পালন করা হয় পাঁচ দিনের ‘তিহার’ উৎসব। এবছর ১২ নভেম্বর তিহার পড়েছে। তবে ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে উদযাপন করা হবে উৎসব। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি পরিচিত ‘কুকুর তিহার’ নামে। হ্যাঁ, নেপালে কুকুরকে পুজো করা হয় দীপাবলির সময়।
এই প্রথার মাধ্যমে আমরা বিশেষ শিক্ষা নিতে পারি। প্রথমত, দীপাবলিতে আতসবাজি বা শব্দবাজি না জ্বালিয়ে সারমেয়কে উত্যক্ত করার বদলে আমরা তাঁদের খেয়াল রাখতে পারি। ওই পাঁচ দিনের তিহার উৎসবের দ্বিতীয় দিনেই করা হয় কুকুরপুজো। নেপালের পরম্পরায় একেক দিন একেক রকমের প্রাণীর পুজো করা হয়। যা শুরু হয় কাক তিহারের মাধ্যমে। প্রথম দিন করা হয় কাকের পুজো। কাক কষ্ট ও হতাশার প্রতীক। এদিন কাকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বাড়ির ছাদে অথবা ঘরের দরজার সামনে সুস্বাদু খাবারের ডালি সাজিয়ে রাখা হয় দুখী কাকেদের জন্য।
কাকের আর্শীর্বাদ পাওয়ার পর দিন হয় কুকুরপুজো। নেপালে সে দিন নিজের বাড়ির কুকুর তো আছেই, পাশাপাশি রাস্তা-গলি-মহল্লার যত কুকুর রয়েছে, তাদের পুজো ও মহাভোজের বন্দোবস্ত করা হয়। যমরাজের দূত মানা হয় কুকুরকে। একটা অংশের বিশ্বাস, যমরাজের দুই কুকুর ছিল- শ্যাম এবং সদল। যারা যমরাজের প্রাসাদের মূল ফটকে রক্ষী হিসাবে নিযুক্ত ছিল। এছাড়া হিন্দু ধর্মে সারমেয়র একাধিক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ রয়েছে। ফলে এ দিন নেপালে কুকুরকে ফুলের মালা, সিঁদুরের টিপ পরিয়ে সাড়ম্বরে পুজো করা হয়। একই সঙ্গে খাবারের তালিকাও বেশ জমকালো হয়ে ওঠে এ দিন। তিন নম্বর দিনে গোবর্ধনপুজো এবং পাঁচ নম্বর দিনে হয় ভাই টিকা বা ভাইফোঁটা ।
Free Access