অফবিট

গাছ প্রতিস্থাপনের পর সত্যিই কি গাছে’দের প্রাণ বাঁচে?

The Truth Of Bengal: বর্তমানে একাধিক প্রকল্পের জন্য গাছ প্রতিস্থাপন একটি নতুন ট্রেন্ড হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেখানে গাছের প্রতিস্থাপনের পর সত্যিই গাছের মধ্যে প্রাঁণ থাকে? কিংবা একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার পর সেই গাছের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটা থাকে? সঙ্গে আদৌ গাছেদের মধ্যে কত শতাংশ গাছ অন্য স্থানে গিয়ে রিকোভার করতে পারে সেটাও যথেষ্ট আলোচনা যোগ্য।

এর আগে বম্বে হাইকোর্টের তরফ থেকে গড়ে তোলা একটি কমিটি থেকে ইনসপেকশন করলে দেখা গেছে যে, মেট্রোর কাজের জন্য হওয়া গাছের প্রতিস্থাপনের ৬০ শতাংশ প্রায় মারা গিয়েছে। সঙ্গে দিল্লিতে হওয়া মেট্রো পরিকল্পনার জন্য যেসকল গাছের প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রিকোভার করার হার অনেকটাই কম।সেই সময়ে বিষয়টিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে থাকে! কারণ অপর দিকে বেঙ্গালুরু, সারজাপুরাতে ১০০ শতাংশ হারে গাছের প্রতিস্থাপন করতে সফল হয়। এবং মুম্বাইয়ের পি ডব্লিউ ডি এক্ষেত্রে একই সূত্র মেনেই গাছের প্রতিস্থাপনে সাফল্য পায়।

এক্ষেত্রে হায়দরাবাদ এর একটি এনজিও VATA FOUNDATION এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি উদয় কৃষ্ণ বলেন যে, এর আগে তারা রাজ্যগুলিতে প্রায় ৩০০০ গাছের প্রতিস্থাপনে এগিয়ে আসেন এবং যার ফলস্বরূপ গাছেদের সফলভাবে প্রতিস্থাপনের মাত্রা ছিল ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন যে, “অনেক সংস্থা রয়েছে তারা খরচ বাঁচানোর জন্য গাছ প্রতিস্থাপন করেন সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন ছাড়াই। যেখানে সত্যিই দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। তারা জেসিবি দ্বারা গাছটি উপড়ে ফেলে পরে গাছটিকে রোপণের জন্য সেই জেসিবি’টিকেই ব্যবহার করে। এটি গাছের বেঁচে থাকার উপর প্রভাব ফেলে। তাছাড়াও একটি গাছ রোপনের পর বা পোস্ট-ট্রান্সপ্ল্যান্ট তারা গাছে জল দেওয়া বন্ধ করে দেন যা ক্ষতিগ্রস্ত করে গাছের রিকোভারি রেটকে। যেখানে প্রতিস্থাপনের পরে ১ থেকে ২ বছর নিয়মিত জল প্রয়োজন হয়। “

Related Articles