
The Truth of Bengal: চিরকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিম্নবিত্ত,সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি ছোট উদ্যোগ ও বস্ত্র দপ্তরকে নির্দেশ দেন গুণগত ভাবে উচ্চমান বজায় রেখে একবারে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে যাতে” বাংলার শাড়ি প্রকল্প” চালু করা যায়। সেই অনুসারে এই প্রকল্পের ডিজাইন ,নির্মাণ,পরিচালনা এবং বিপণন, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পড়ে রাজ্যের বস্ত্র দপ্তরের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হ্যান্ডলুম উইভার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড বা তন্তুজ এর উপরে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই “বাংলার শাড়ি প্রকল্পের” সূচনা হতে চলেছে ২৩ আগস্ট বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে। ৩০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে মহিলাদের বিভিন্ন শাড়ি, ড্রেস মেটেরিয়াল মিলবে এই “বাংলার শাড়ি” প্রকল্পে। দুটি অত্যাধুনিক” বাংলার শাড়ি শোরুম” এর উদ্বোধন হতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার দক্ষিণাপন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দিঘাতে।
অত্যন্ত উচ্চমানের সুতো দিয়ে বাজারের সঙ্গে চাহিদা রেখে বিশেষভাবে ডিজাইন এর শাড়ি এবং ড্রেস মেটেরিয়াল মিলবে এই দুটি এক্সক্লুসিভ শোরুম- এ । এর বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত কম দাম, গুণগত উচ্চমান ,আসল প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি সুতো ও সিল্ক থেকে নির্মিত । অত্যাধুনিক কালার এবং ডিজাইন যা বাজারের চাহিদা অনুসারে পাল্লা দেবে। পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি সহ বেশ কিছু পোশাকও মিলবে ওই শো রুম গুলিতে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দিনই শিলান্যাস করবেন রাজ্যে পাঁচটি সুতো ব্যাংক সহ বস্ত্র সম্ভার রাখার ওয়েরহাউজের এর। এইগুলি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দীঘা, পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম ,নদীয়ার শান্তিপুর ,কোচবিহার, উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের সুখচর এ। এইসব সুতো ব্যাংক থেকে তন্তুবায়ীরা অত্যন্ত কম মূল্যে উচ্চমানের সুতো পাবেন, যাতে তাদের আগামী দিনে কাপড় বুনতে এবং তাদের বস্ত্র ব্যবসায় অত্যন্ত সুবিধা হয়। গুণগত মান বজায় রেখে তারা বাজারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে তাদের বস্ত্র সম্ভার নিয়ে ভালোভাবে বিপণন করতে পারেন,একটু বেশি লাভ করতে পারেন।
আসন্ন শারদ উৎসবের আগে রাজ্যের বিভিন্ন তন্তুবায়ী বস্ত্রসম্ভার নির্মাতাদের সাহায্য- সহযোগিতা করার জন্য তারা বিভিন্ন তন্তুবায়ী অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন শিবির করছেন যাতে তাদের উৎপাদিত বস্ত্র সামগ্রী তন্তুজ, তন্তুবায়ীদের থেকে সরাসরি কিনে নিতে পারেন এবং তারাও তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্যের সঠিক মূল্য হাতে পেয়ে যান। এই ধরনের শিবিরে বিগত কয়েক দিনে কোচবিহারে হাজির ছিলেন স্বয়ং তন্তুজ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায়। পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলীতে হাজির ছিলেন তন্তুজ এর স্পেশাল অফিসার এবং রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজে। ছিলেন তন্তুজের এর অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মীরা। এছাড়াও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এ এই ধরনের শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখান থেকে প্রচুর টাকা মূল্যের বস্ত্রসামগ্রী সরাসরি তন্তুজ তাঁতি দের দুয়ারে গিয়ে সংগ্রহ করেছেন।যেগুলি আগামী দিনে মিলবে তন্তুজ এর বিভিন্ন শো রুম গুলিতে। তিনি আরো জানালেন উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তারা “স্টার অফ গভর্নেন্স –স্কচ অ্যাওয়ার্ড ইন হ্যান্ডলুম এন্ড টেক্সটাইলস” — পেয়েছেন যা স্কচ গ্রুপ এর পক্ষ থেকে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ২৬শে আগস্ট তাদের প্রদান করা হবে। অন্য বিভাগে এই স্কচ পুরস্কার তন্তুজ আগেও কয়েকবার পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলার টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে তন্তুজ হয়ে উঠেছে এক নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন মধ্যবিত্তের চাহিদা মেটাচ্ছে তন্তুজ।