লাইফস্টাইল

পুজোয় সঠিক হেয়ারস্টাইলেই কেল্লাফতে লুকস

Lifestyle

The Truth of Bengal,Mou Basu: ঝলমলে রোদে সেজে উঠেছে আশ্বিনের আকাশ।মহালয়া এসে যাওয়া মানেই পুজোর প্ল্যানিং শুরু।আমাদের লুকস মানে আমাদের কেমন দেখতে লাগবে তা অনেকটাই নির্ভর করে হেয়ারস্টাইলের ওপর। বেমানান হেয়ারস্টাইল বা চুলের স্টাইলে সাজ মাটি হতে বাধ্য। হেয়ারস্টাইল হল ওয়ান টাইম বিনিয়োগ যা আমাদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আমার সুবিধা জোগায়। মুখের আদলের বেস্ট ফিচার যেমন জ’লাইন, চিকবোন তুলে ধরে হেয়ারস্টাইল। আবার মুখে যদি অতিরিক্ত মেদ জমা হয়ে থাকে তা’হলে সঠিক হেয়ারস্টাইল মুখকে স্লিম বা রোগা দেখায়।

হেয়ারস্টাইল বাছার আগে মুখের আদল ও জ্যামিতি বুঝতে হবে। আসুন দেখে নিই কোন আদলের মুখে কেমন হেয়ারস্টাইল ফিট হবে-

★গোল মুখ: আপনার মুখ যদি গোল হয় তবে চুলের স্টাইল করুন আলিয়া ভাট, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, শিল্পা শেট্টির মতো। লেয়ারড হেয়ারস্টাইল এক্ষেত্রে সেরা কারণ তা আপনার জ’লাইনকে হাইলাইট করবে। মুখ মাংসল নয় রোগা দেখাবে। চিকবোনকে তুলে ধরতে স্লিক পনিটেল বা পিক্সিকাটও বাছতে পারেন। চুল ছোটো করে ছাঁটলে মনে রাখবেন চুলের লেয়ার যাতে কোনোভাবে কানের পাতার ওপরে না হয়। না’হলে তা কানের দু’পাশ দিয়ে আরো গোলাকার লাগবে। মনে হবে মুখের দু’পাশেই সব মাংস জমা হয়েছে। এক্ষেত্রে লম্বা, সাইড পার্টিং হেয়ারস্টাইল বাছুন যা চিকবোনের ওপর নেমে আসবে। এতে অ্যাঙ্গুলার লুক পাওয়া যাবে। চুলে হালকা ঢেউ খেলানো ব্যাপারও মাননসই হবে। তবে কোনোভাবে ঘন কার্লিং বা কোঁকড়ানো ভাব একেবারেই করবেন না। গোল মুখে লম্বা আর চওড়া সমান মাত্রায় থাকে। গোলাকার চিকবোনই প্রমিনেন্ট। লেয়ারড কাটের ক্ষেত্রে জ’লাইন থেকে শুরু হওয়া ছাড়া ছাড়া দীর্ঘ লেয়ার বেছে নিন। ছোটো চুলের ক্ষেত্রে চপি পিক্সিকাট বাছতে পারেন।

★ডিম্বাকৃত মুখ: মানানসই হেয়ারস্টাইল বাছার জন্য ডিম্বাকৃতি মুখ সবচেয়ে লাকি। কারণ যে কোনো হেয়ারস্টাইল অনায়াসে মানিয়ে যায় এই ধরনের মুখে। ডিম্বাকৃতি মুখে চিন বা থুতনির দিকটা একটু লম্বাটে হয় তাই চিকবোন আর জ’লাইনকে হাইলাইট করতে লেয়ারকাট যেমন বাছতে পারেন। তেমনই পিক্সিকাটও বাছতে পারেন। চুল লম্বা হলে ঢেউ খেলানো হলেও ভালো লাগবে। অনেকের ডিম্বাকৃতি মুখ হলেও কপাল চওড়া হয় সেক্ষেত্রে বাউন্সি ফ্রিঞ্জ কাটের দিকে হাত বাড়ান। ছোটো চুলের ডিম্বাকৃতি মুখের জন্য আদর্শ হল ব্লান্ট বব বা লব কাট। চুল লম্বা হলে বেশি লেয়ার রাখবেন না, কিছুটা ঢেউ খেলানো বা কোঁকড়ানো হলে ভালো লাগে। সিঁথি কাটুন মাঝখানে।

★ লম্বাটে মুখ: লম্বাটে মুখের ক্ষেত্রে এমন হেয়ারস্টাইল বাছুন যাতে মুখের ২ পাশ চওড়া দেখায়। কাঁধ পর্যন্ত হেয়ারস্টাইল এক্ষেত্রে একদম পার্ফেক্ট। লুুক ঠিক রাখতে ফ্রিঞ্জ অথবা লম্বাটে বা গোলাকার ব্যাঙ্ক কাট কাটুন। তবে খুব লম্বা বা ছোটো করে চুল ছাৎটবেন না তাহলে মুখ আরো লম্বাটে দেখাবে। মাঝখানে নয় এক পাশ করে সিঁথি কাটবেন।

★ চৌকো মুখ: আপনার কপাল, জ’লাইন আর চিকবোন যদি সমান ভাবে চওড়া হয় তা’হলে বলা যায় আপনার মুখের আদল চৌকো। এই মুখে এমন হেয়ারস্টাইল বাছুন যাতে আপনার মুখে একটু নরমভাব আসে। চৌকো মুখে চওড়া হয় কপাল ও চিকবোন। স্ট্রং জ’লাইনকে অ্যাঙ্গুলার লুক দিয়ে সাইড পার্টিং বা একপাশে সিঁথি করে চুল কাটুন। ভেতর দিকে বাঁকানো লম্বা লেয়ার ব্রাশ কাটে মুখে একটা নরম ভাব আসবে। চওড়া ভাব কমিয়ে মুখ লম্বাটে দেখাতে লম্বা লুজ ঢেউ খেলানো চুলের কাট বাছতে পারেন। লং বড়ো বব কাট আপনার জন্য আদর্শ হেয়ারস্টাইল। ডান বা বাঁ পাশে নয় মাঝখানে সিঁথি করবেন। সাইড সোয়েপ্ট ব্যাং হেয়ারস্টাইল বাছতে পারেন। চুলের দৈর্ঘ্য কমাতে হলে শর্ট লেয়ার বব কাটতে পারেন। উঁচু করে বাঁধা পনিটেল, ওয়ান লেংথ বব বা ব্লান্ট ব্যাঙ্গ কাট কাটবেন না।

★ ডায়মন্ড মুখ: যাঁদের কপাল আর জ’লাইন সরু আর চিকবোন বা গাল চওড়া তাঁদের বলা হয় মুখের আদল ডায়মন্ড কাট। মাঝারি বা লম্বা দৈর্ঘ্যের লেয়ার কাট বাছুন।। একপাশে সিঁথি করবেন। থুতনি পর্যন্ত বব কাটও মাননসই হবে। চুল উলটে পনিটেল বাঁধুন।

★ ত্রিকোণাকৃতির মুখ: জ’লাইন কপাল আর থুতনির চেয়ে ত্রিকোণাকৃতির মুখে বেশি চওড়া হয় তাইই বুদ্ধি করে এমন হেয়ারস্টাইল বাছুন যাতে মুখের নিচের দিকের ভারী ভাব কমাবে। চিকবোন বা কলারবোন পর্যন্ত লেয়ার কাট বাছুন। স্ট্রে বব কাট একদম কাটবেন না। ছোটো চুল হলে পিক্সিকাট কাটুন। ফফুুল বাা লং সাইড ব্যাঙ্গ কাটবেন না।

★ আয়তকার মুখ: মুখের চওড়া ভাব কমাতে ও চিকবোনকে হাইলাইট করতে সফট লেয়ারের মতো স্লিক স্টাইল বাছুন। লম্বা চুল হলে ব্লোআউট, ঢেউ খেলানো বা কোঁকড়ানো লুক আনুন। খোঁপা করলে হাই বানের চেয়ে ঘাড়ের কাছে আলতো এলো খোঁপা রোম্যান্টিক লুক দেবে চেহারায়। সফট রাউন্ডেড ফ্রিঞ্জ কাটও মাননসই হবে।

Related Articles