মেজাজ খিটখিটে, কী কারণ, ল্যানসেটের সমীক্ষায় উঠে এল আজব তথ্য
Irritable mood, what causes, the Lancet survey revealed strange information

The Truth of Bengal,Mou Basu: প্রবল গরম শুধু শরীর নয় মনের ওপরও তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ল্যানসেটের সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ টানা চলার কারণে আমাদের শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। লাগাতার এত গরম, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার পারদ এত বেশি চড়া থাকার কারণে সব সময় ক্লান্ত লাগে, মন খিটখিটে থাকে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত লাগে। ল্যানসেটের গবেষণায় দেখা গেছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। তার প্রভাব সরাসরি মনের ওপর পড়ছে। মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডাক্তার দেখানো বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। নানান জটিল রোগ হচ্ছে। যারা আর্থিক কারণে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না তাদের মধ্যে মানসিক উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত থাকলে আত্মহত্যা করার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে মনে।
আসুন দেখে নিই কীভাবে তাপপ্রবাহ প্রভাব ফেলছে আমাদের মনের ওপর?
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে বলেই আর্দ্রতা বাড়ছে। শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরকে বেশি খাটতে হচ্ছে। এর প্রভাবে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। প্রকারান্তরে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে আমাদের মস্তিষ্কে ও মনের ওপর। এছাড়াও একটানা রোদে থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে ঘুম। কম ঘুমোলে শরীর ক্লান্ত লাগে। মন সব সময় খিটখিটে থাকে। আরও বেশি করে মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও অবসাদ দেখা যায়।
কী করবেন?
১) ডিহাইড্রেশন শুধু শরীর নয় মনের ওপরও প্রভাব ফেলে তাই শরীর ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে প্রচুর পরিমানে জল বা তরল পানীয় খাবেন। জলশূন্য হলে আমাদের মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি যায় না তাতে ক্লান্ত, অবসন্ন লাগে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হয়।
২) একটানা চড়া রোদের মধ্যে থাকবেন না। বেশি গরমে চড়া রোদে অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বেরোবেন না। একান্তই বেরোতে হলে চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্যে থাকতে। এতে মনও একটা ব্রেক পাবে।
৩) শরীর ঠান্ডা হয় এমন সহজপাচ্য খাবার খাবেন। তরমুজ, শশা ও টাটকা শাকসবজি বেশি পরিমাণে খান। এসব খাবার শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মনও শান্ত রাখে।
৪) গরমে আমাদের মনও উদ্বিগ্ন থাকে তাই ধ্যান, যোগাভ্যাস করুন।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম দরকার তাই চেষ্টা করুন রাতে ঘুমোনোর সময় শোওয়ার জায়গা যেন অন্ধকার থাকে। হাওয়া চলাচল করে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম দূরে রাখুন।