এবার হাতের আঙুলই বলে দেবে কে সাইকোপ্যাথ? জানুন কীভাবে বুঝবেন
Fingers will tell who is a psychopath?

The Truth Of Bengal, Mou Basu : হাতের আঙুলই বলে দেবে আপনি সাইকোপ্যাথ কিনা। কানাডার কিউবেক শহরের Centre de Recherche Charles-Le Moyne এর একদল গবেষক এমনই দাবি করেছেন। গবেষক দলের দাবি যে সব ব্যক্তির রিং ফিঙ্গার বা অনামিকা ইনডেক্স ফিঙ্গার বা মধ্যমার চেয়ে লম্বা হয় তাদের মধ্যে সাইকোপ্যাথিক টেনডেন্সি বা মানসিক রোগের প্রবণতা থাকে। Journal of Psychiatric Research নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র। ৮০ জনের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪৪ জনের মধ্যে অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার দেখা গেছে। ৩৬ জন একেবারে সুস্থ ছিলেন। গবেষকরা ৮০ জনের ডান হাত পরীক্ষা করেন। বিভিন্ন রকমের ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে নতুন এআই বা কৃত্রিম মেধার ওপর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রত্যেকের আঙুলের ছাপই একদম আলাদা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমনই গবেষণা চালান। তাঁরা একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এর সাহায্যে ৬০ হাজার আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা হয়। এআই প্রযুক্তি ৭৫-৯০% সঠিক ভাবে আঙুলের ছাপ শনাক্ত করতে পেরেছে। Science Advance নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র।
কীভাবে বুঝবেন সাইকোপ্যাথদের?
১) সাইকোপ্যাথরা চার্মিং হন। প্রচণ্ড ভাবে ক্যারিসমেটিক হন। সামাজিক ও আবেগপ্রবণ হন। ওপর ওপর ফেক সিমপ্যাথাইজার হন। ফ্লার্ট করতে ও ভুয়ো সিমপ্যাথি দেখানোয় পারদর্শী হন।
২) ওপর ওপর সিমপ্যাথি বা অন্যের প্রতি সহমর্মিতা থাকলেও চার্মিং ব্যক্তিত্বের অধিকারী সাইকোপ্যাথরা আদতে খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়। অন্যকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত, হেনস্তা করে আনন্দ পায় সাইকোপ্যাথরা।
৩) সাইকোপ্যাথরা মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসে। ইগো বা অহংবোধ বেশি হয়। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। সাইকোপ্যাথদের কোনো বিবেকবোধের দংশন হয় না।
৪) সাইকোপ্যাথদের কোনো মানবিক বোধ থাকে না। ঘৃণ্য অপরাধমূলক কাজ করলেও কোনো দায় নেয় না।
৫) অধিকারবোধ প্রখর হয় সাইকোপ্যাথদের। অন্যের ওপর ক্ষমতা, অধিকার প্রয়োগ করে।
৬) স্যাডিস্টিক বা অন্যকে আঘাত দিয়ে আনন্দ পায় সাইকোপ্যাথরা।
৭) নিয়মকানুন, শৃঙ্খলা কিছুই মানে না সাইকোপ্যাথরা। নিজেদের ফায়দা, লাভের জন্য অন্যদের ব্যবহার করে সাইকোপ্যাথরা। মাথা ঠান্ডা রেখে আগে থেকে পরিকল্পনামাফিক সব সিদ্ধান্ত নেয় সাইকোপ্যাথরা।
৮) সাইকোপ্যাথদের মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় তাই অপরাধ করলে ধরা পাওয়ার কোনো ভয় দেখা যায় না সাইকোপ্যাথদের মনে।
৯) সাইকোপ্যাথদের অপরাধমূলক চিন্তাভাবনা অনেক ছোটোবেলা থেকেই নজরে আসে।
১০) অন্যের প্রতি সহমর্মিতা থাকে না বলে সাইকোপ্যাথদের সম্পর্কে ভাঙন খুব স্বাভাবিক জিনিস।
১১) হিংস্র প্রকৃতির হয় সাইকোপ্যাথরা। অন্যের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আনন্দ পায় সাইকোপ্যাথরা। অন্যকে মিথ্যে বলে নিজের কার্যোদ্ধার করতে সিদ্ধহস্ত সাইকোপ্যাথরা।
FREE ACCESS