লাইফস্টাইলস্বাস্থ্য

কুমড়ো খেয়ে কুমড়োর বীজ ফেলে দিচ্ছেন, জানেন কত বড়ো ক্ষতি করছেন

Eating pumpkin and throwing away pumpkin seeds, you know how much damage you are doing

Truth Of Bengal: মৌ বসু : কুমড়ো রান্না করে খাওয়ার পর আমরা সাধারণত কুমড়োর বীজ ফেলে দিই। কিন্তু জানেন কি কুমড়োর ছোট্ট দানা হল আসলে সুপারফুড যা আপনার ত্বক ও চুলের জন্য একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে।
কুমড়োর বীজ পুষ্টিগুণে ঠাসা। ত্বককে উজ্জ্বল করতে, চুলকে মজবুত করতে ও ব্রণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

আসুন দেখে নিই ত্বকের ও চুলের পরিচর্যায় কতটা উপকারী কুমড়োর বীজ

১) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ ত্বককে ভেতর থেকে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব কমিয়ে ত্বককে নরম করে তোলে। কুমড়োর বীজ গুঁড়ো করে নিয়ে টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। ত্বকের মরা কোষ দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২) কুমড়োর বীজে এসেন্সিয়াল অয়েল থাকে বলে তা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৩) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই ও ক্যারোটেনয়েড সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ ত্বককে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলসের হাত থেকে রক্ষা করে।

৪) ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ ত্বকের লালচে ভাব কমায়। চুলকানি দূর করে।

৫) বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইনের মতো কুমড়োর বীজে প্রাকৃতিক ইউভি ফিল্টার থাকে যা ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, নরম করে ত্বককে।

৬) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজের গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মাস্ক ত্বককে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়। বলিরেখা দূর করে। ত্বককে টানটান রাখে।

৭) দস্তা, ম্যাগনেশিয়াম, লোহায় ঠাসা কুমড়োর বীজ চুলকে মজবুত ও সুস্থ রাখে। এটি চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। কুমড়ো বীজ নারকেল তেলে কিছুদিন রেখে তা দিয়ে মাথায় আলতো ভাবে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলের অকালে ঝরে যাওয়া আটকায়।

৮) কুমড়োর বীজে অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে বলে ব্রণর সমস্যা দূর করে। কুমড়োর বীজ গুঁড়ো করে ওটসের গুঁড়ো করে মিশিয়ে জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। ব্রণর সমস্যা দূর হয়।

Related Articles