হ্যাপি মাদার্স ডে’! মায়েদের জন্য সত্যি কি কোনো বিশেষ দিন হয়
Happy Mother's Day', a special day for mothers

The Truth of Bengal: ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’। মায়েদের জন্য বিশেষ একটি দিন। তবে সন্তানের কাছে মায়ের ব্যাপ্তি অসীম, অনন্ত। যা একটি বিশেষ দিন দিয়ে উদযাপন করা সম্ভব নয়। তাও এই একটি মাত্র দিন সেই সম্পর্ককে ঝালিয়ে নেওয়া হয়। ১৯১৪ সাল থেকে পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য পালন করা হয় ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’। সন্তানের কাছে মায়ের গুরুত্ব অসীম। মা ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক কোনও আলাদা উপমা দরকার হয় না। মা এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে বিরাট ব্যপ্তি। যা সন্তানের কাছে মহীরুহ সমান। সেই মায়েদের জন্য বিশেষ উৎসর্গীকৃত দিন হল ১২ মে। দিনটি ‘হ্যাপি মাদার্স ডে‘ নামে পরিচিত। গোট বিশ্বের মানুষ এই দিনটিতে আলাদা করে মা-কে শ্রদ্ধা জানায়। যদিও ‘মা তোমায় আমি ভালবাসি’– এই কথাটি বলার জন্য আলাদা করে কোনও দিনের প্রয়োজন হয় না। মা আর সন্তানের মধ্যে সম্পর্কের মাধুর্য প্রতিদিন সমান গুরুত্বের। তাও ১৯১৪ সাল থেকে পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য পালন করা হয় ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’।
প্রথম মাদার্স ডে উদযাপিত হয় ১৯০৮ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার সেন্ট অ্যান্ড্রুজ মেথডিস্ট চার্চে প্রথম আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। যদিও এর আগে মাদার্স ডে-র বীজ বপন হয় ১৮৬৮ সালে। সমাজকর্মী অ্যানা জারভিসের মা অ্যান জারভিসের হাত ধরে। সেই সময়ে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে স্বামী-সন্তান হারানো পরিবারগুলির মধ্যে সৌভাতৃত্ব ও সুসস্পর্ক গড়ে তুলতে তিনি ‘মাদার্স ফ্রেন্ডশিপ ডে’ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তারপর মায়েদের জন্য একটি বিশেষ দিনকে চিহ্নিত করার জন্য ১৯০৫ সাল থেকেই প্রচার শুরু করেন অ্যানা।
১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়াতেই প্রথম সরকারি ভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯১৪ সালের ৯ মে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন নয়া আইন চালু করে জানান, প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হবে মাদার্স ডে। সেই থেকে মায়েদের জন্য এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। তবে ভারতে নব্বইয়ের দশক থেকে মাদার্স ডে-র প্রচলন শুরু হয়। এখন দিনটি অত্যন্তের গুরুত্বের সঙ্গে পালন হয় আমাদের দেশে।