রয়েছে শীতের পিছুটান, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে নানা সংক্রমণ
Winter is approaching, various infections are increasing due to the vagaries of the weather

Truth Of Bengal : লাগাতার চলছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। কখনো শীত শীত ভাব আবার কখনো প্রচন্ড গরম। রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হলেও বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পারদ। ভরদুপুরেও রীতিমত গরমে অস্বস্তি এবং ঘামের জেরে একাকার মানুষ। ঠান্ডা গরমের এই টানাপড়েনে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। আর এই আবহবাহায় বাড়ছে সর্দি-কাশি আর জ্বরের মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে ঋতুবদলের সময় এই ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রায় প্রতিবছর দেখা যায়। অসুখ থেকে বাঁচার জন্য একাধিক সতর্কতাও জারি করেছেন তারা।
কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের একাধিক জায়গাতেই তেমন কনকনে শীতের আমেজ এবার দেখা যায়নি। চলতি শীতের মরশুমে লেগেই ছিল পারদের ওঠা নামার খেলা। তবে ক্যালেন্ডারের পাতা মাঘ মাস পেরিয়ে ফাল্গুন মাসে পা রাখলেও শীতকাল নিজের পিছুটান যেন ছাড়তে চাইছে না। যেমন বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর শুক্রবারে এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম এবং শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে। যা অন্যান্য বছর ফাল্গুনের সময় থাকে না। উত্তরবঙ্গেও এখনো শীতের আমেজ বেশ ভালই অনুভূত হচ্ছে পর্যটকদের।
আজ শনিবার ফের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। তার ফলে ফের হাওয়া বদল হবে। আসলে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা তেমনটাই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আর আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের ফলে জীবাণু সক্রিয় হয়ে উঠছে বলেও মত পরিবেশবিদদের। তাই জীবাণু থেকে বাঁচতে চিকিৎসকেরা বারবার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন মাস্কের। এছাড়াও ভালোভাবে হাত পা ধুতে হবে, যারা হাঁচি এবং কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বাইরে গরম থেকে এসে আচমকা এসি ঘরে ঢোকা মোটেই উপকার নয়। সঠিক পরিমাণে জল খেতে হবে শরীরে যাতে জলের শূন্যতা তৈরি না হয়।