ড্রাইভিং লাইসেন্সে কড়া নজর পরিবহন দফতরের, বাংলাদেশি গ্রেফতারের পর আরও সতর্ক প্রশাসন
Transport Department keeps a close eye on driving licenses, administration more cautious after Bangladeshi arrest

Truth Of Bengal: এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে নথিপত্র আরও খতিয়ে দেখবে পরিবহন দফতর। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকা থেকে বাংলাদেশি গ্রেফতার হওয়ার পর আরও সতর্ক হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি থেকে শুরু করে যেভাবে একের পর এক জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় বাস করছিল বাংলাদেশের বাসিন্দা আজ়াদ শেখ, তাতে বেশ দুশ্চিন্তায় পরিবহণ দফতর। কারণ, যেকোনও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরে যেসব নথি জমা পড়ে তার সত্যতা যাচাই করার কোনও সুযোগ বা প্রযুক্তি পরিবহণ দফতরের কাছে নেই। আগামী দিনে কীভাবে ভুয়ো নথি দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির প্রবণতা আটকানো যাবে, তা নিয়েচিন্তায় পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
এই বিষয়ে লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকরা পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন। কারণ, দফতরের তরফেকোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাতে মন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু বিষয়টি দেশ তথা রাজ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত তাই পরিবহণ দফতর এই বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ।
সম্প্রতি কালীঘাট থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দু’বছর ধরে বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ভিসা ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন তিনি। একটি পথ দুর্ঘটনাই পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় ওইবাংলাদেশিকে।ঘটনায় অভিযুক্ত আজ়াদশেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছিল, বছর একচল্লিশের ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর কিছু নথি খতিয়ে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। দেখা যায় অধিকাংশ নথিই জাল। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে যে, ওই ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। কলকাতা থেকে কীভাবে সহজেই গাড়ি চালানোর কাজ জোগাড় করেছিল ওই অনুপ্রবেশকারী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।