অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে জালিয়াতি চেয়ারম্যানের কাছে পুলিশের জালে ধৃত তিন
Three Arrested in Police Sting for Using Abhishek Banerjee’s Identity for Fraud with chairman

Truth of Bengal:
অতিচালাকির গলায় দড়ি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতা ও কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ধৃত ৩ যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার এমএলএ হোস্টেল থেকে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ এই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায় তাদের এমএলএ হোস্টেলের একটি ঘরে রাখা হয়েছিল, যা কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বুক করেছিলেন। বিধায়কের ভূমিকা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে যে আনন্দ দত্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করা হয়। সেই হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি-তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। পুলিশ আরও জানায় সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের পদস্থ কর্মী বলে নিজের পরিচয় দেন। এছাড়া পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন ভয় দেখিয়ে।
চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত গোটা ঘটনার বিষয়ে দলকে জানান। কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ মামলা রুজু করে। এরপরেই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। পরিকল্পনা অনুসারে, আনন্দ দত্ত অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এরপরেই তাঁকে কলকাতায় এমএলএ হোস্টেলে আসতে বলা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনন্দ দত্ত এমএলএ হোস্টেলে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিভিল ড্রেসে থাকা শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ অফিসাররা। ওখান থেকেই তিন যুবককে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক ও শেখ তসলিম। তিন জনকেই আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, এমএলএ হোস্টেলের গেস্ট রুমটি ইমরান শেখের নামে বুক করা হয়েছিল আর সেটি করেছিলেন কোচবিহারের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। বিজেপি বিধায়ক ও ইমরান শেখের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।