কলকাতা

হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজের খতিয়ান তুলে ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা রাজ্যের

The state's message for junior doctors to return to work highlights the security work of the hospital

Truth Of Bengal: রাজ্য সরকার আন্দোলনরত মেডিক্যাল ছাত্রদের অনশন ভেঙে কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের বিবরণ দেন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রায় দু’মাস পর, সিবিআই সোমবার চার্জশিট দাখিল করেছে। এদিকে, চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ, এবং তারা সিবিআই তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যসচিব জানান যে মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ আগামী ১০ তারিখের মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে যাবে। চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ডিউটি রুম সংস্কার, শৌচাগার উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ প্রায় শেষের পথে। পাশাপাশি, রেফারেল সিস্টেম নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং একটি পাইলট প্রজেক্ট ১৫ তারিখ থেকে শুরু হবে। মুখ্যসচিব বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পুরো রাজ্যে এই সিস্টেম চালু হবে। প্যানিক বাটনের দাবি মেটানো হবে এবং সেই কাজও ১ নভেম্বর থেকে চালু হবে। সরকার সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

পন্থ বলেছেন, “রাজ্যে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ আছে। সেগুলিতে মোট ৭০৫১টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে, যার ৪৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই লাগানো হয়ে গেছে।” মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, হাসপাতালে ‘রেফার রোগ’ নিয়ে যে কোনও রোগীকে রেফার করার কারণ নথিভুক্ত করা আবশ্যক। তিনি বলেন, “কোন হাসপাতালে কত বেড আছে, তা ‘রিয়েল টাইম’ জানা গেলে সুবিধা হবে। রোগী ভর্তির সময় দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তখন বুঝতে পারবেন কোন হাসপাতালে রেফার করলে ভালো হবে।” আরও বলেছেন, “সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের সদিচ্ছা পরিষ্কার।

সুপ্রিম কোর্ট নিরাপদ এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় সব হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতর একসাথে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং দ্রুত গতিতে চলছে। সকলের কাছে অনুরোধ, ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ নিয়ে পদক্ষেপগুলি দেখুন। এই সব কাজ মানুষের পরিষেবার জন্য। এখানে বিরোধিতা করার কোনও অবকাশ নেই।”

Related Articles