ব্রাত্য বসুকে পদ থেকে সরানো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, কি চলছে জানুন
The state gave a stern reply to the governor

The Truth of Bengal: রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের মূলে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।তাঁকে অপসারণ করা দরকার।রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোসের এই সুপারিশে জল্পনা বাড়ে। প্রশ্ন ওঠে,ভোটের মাঝে কেন রাজ্যপাল অতি সক্রিয় হয়ে উঠছেন ? তবে কী রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মেজাজ হারিয়েই একথা বলছেন ?কেন এই বিরোধের মাত্রা তীব্রতর হচ্ছে ? সংঘাতের মধ্যে পাল্টা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও।তাঁর মতে,রাজ্যপাল যা বলছেন,তা একেবারেই হাস্যকর। সংবিধানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ব্রাত্যর কটাক্ষ,রাজ্যপাল যা বলছেন তা একেবারেই হাস্যকর।
রাজ্যপালকে এর কড়া জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।নবান্নের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে,রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ার মানছেন না।এমনকি সুপ্রিমকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে,রাজ্য-রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে তাও তিনি মনে রাখতে পারছেন বলে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই রাজ্যে সংঘাত কোনও নতুন বিষয় নয়।রাজ্যপাল-রাজ্যের সংঘাত অতীতেও হয়েছে।
পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ও আর্থিক ব্যয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা যায়।এখন বর্তমান রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোসের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সংঘাতের সুর চড়ায় তাতে অনেকেই ভাবছেন,এই বিরোধের জল কোথায় গড়াবে তা বোঝা যাচ্ছে না।অবিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়ে বরাবরই বিরোধী ইন্ডিয়া জোট মুখর হয়েছে।কেরল,তামিলনাড়ুর মতোই বাংলার রাজ্যপালও অকারণে বিরোধ তৈরি করছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।