কলকাতা

সন্দীপকে ঘিরে ‘চোর’ স্লোগান জনতার, ক্যামেরা দেখে মুখ লুকোলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ

The crowd chanted 'thief' around Sandeep, the former principal hid his face from the camera

Truth of Bengal: টানা ১৫দিন জেরা করার পর ২রা আগস্ট সোমবার রাতে গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ওই দিন অর্থাৎ ২রা আগস্ট দুপুরেই সন্দীপ-সহ চারজনকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা আলিপুর আদালতে। সন্দীপকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেস থেকে তখন বড়সড় ভিড় দেখা যায় নিজাম প্যালেসের সামনে। আশপাশের সরকারি দফতরের বহু কর্মীই ভিড় জমান নিজাম প্যালেসের সামনে। সন্দীপকে দেখে অনেকেই আবার চোর চোর স্লোগান দিয়ে ওঠেন। সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার কার্যত মুখ লুকিয়ে নিজাম ছাড়তে দেখা যায় সন্দীপকে।

উল্লেখ্য, ৯অগাস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসকে খুনও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।সেই ঘটনায় সিবিআই ১৩অগাস্ট চিকিত্সক নির্যাতনকাণ্ডের তদন্ত ভার নেয়। তারপর দফায় দফায়  জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দীপ ঘোষকে। ১৬অগাস্ট থেকে ৩০অগাস্ট টানা ১৫দিন তাঁকে জেরা করা হয়। এর মাঝেই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মূলতঃ প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তে নামে।  সেই ঘটনায় একদিন তিনি যেতে পারেননি। সেদিন তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের স্পেশাল টিম। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।

এরপর শনি–রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁকে তলব করেনি। তবে সোমবার ফের সন্দীপ ঘোষকে ডেকে পাঠায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেইমতো সিজিওতে হাজিরা দেন হাসপাতালের একসময়ের মাথা। সিবিআইয়ের তরফে জানা গেছে,সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্টে বেশকিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে।যার সঙ্গে আগের বয়ানের সঙ্গতি নেই। তাই আসল সত্যি জানতেই সন্দীপ ঘোষকে সোমবার ম্যারাথন জেরার মুখে বসানো হয়।উল্লেখ্য, চিকিত্সক খুনের পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতসকাচের নীচে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।

এরমধ্যে আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন।সেই অভিযোগের তালিকায় রয়েছে,মর্গ থেকে দেহ লোপাট ও মেডিক্যালের বর্জ্য বেচাকেনার মতো গুরুতর অভিযোগ।তদন্তকারীরা মর্গের মতোই সন্দেহজনক নানা জায়গায় হানাও দিয়েছে। সেইসব তথ্য এখন সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে।এর মাঝে সন্দীপ ঘোষ,জানিয়েছেন,তিনি সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে চান।

সেইমতো সিবিআই ডাকলেই তিনি সিজিওতে হাজিরা দেন। তথ্যও নথি দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। এরমধ্যে সুপ্রিমকোর্টে এই আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের খুনও নির্যাতনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলছে। ৫সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। তাই তার আগে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ায় বড় ঘটনা ঘটল। সিবিআই ব্রেক থ্রু পাওয়ায় তদন্তে অগ্রগতি হল বলে অনেকের অভিমত।

Related Articles