কলকাতারাজ্যের খবর

বিদ্যুৎ বিদায়ের পরেই শান্তিনিকেতনে ফিরছে পৌষমেলা

Subhas Dutta comment on Bidyut Chakraborty and Poushmela

The Truth of Bengal: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বড় উৎসব দুটি। পৌষমেলা আর বসন্ত উৎসব। কিন্তু বিদ্যুৎ জমানা শুরু হওয়ার পর থেকেই পৌষমেলা হয় না শান্তিনিকেতনে। এমনিতেই করোনা কারণে দু’বছর মেলা হয়নি। তারপর পৌষমেলার জায়গায় শুরু হয় পৌষ উৎসব। তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের পরেই শোনা যাচ্ছে, শান্তিনিকেতনে আবারও শুরু হচ্ছে পৌষমেলা, তাও আবার এই বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে মেলা বসবে বলে শোনা যাচ্ছে।

এই বিষয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের মন্তব্য “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আজ রাহুমুক্ত। পূর্ণাঙ্গ সূর্যগ্রহণ আর নেই”। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা সংক্রান্ত বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন তিনি। মেলা বন্ধ নিয়ে সুভাষবাবু বলেন, প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের অক্ষমতাকে ধামাচাপা দিতে এবং মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর তাগিদে কোনো কারণ ছাড়াই একতরফা ভাবে মেলা বন্ধ করে পরিবেশ কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়েছিলেন।।

বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় মল্লিক। তিনি এই বিষয়ে জানান, বিশ্বভারতীতে নতুন সূর্য উঠেছে। এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার সময় ফিরবে। পৌষ মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে একটি চিঠি দিয়েছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।

তিনি বলেন, “বর্তমান বছরের পৌষ মেলা যেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টই সংগঠিত করে। অসংখ্য মানুষ এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকে এবং এটি একটি ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যশালী অনুষ্ঠান। এতদিন বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যকে বিপরীতমুখী করার এক অশুভ প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল। আমরা চাই এই বিশ্ব বরেণ্য প্রতিষ্ঠানটি তার স্বমহিমায় ফিরে আসুক এবং পৌষ মেলা হোক মেলা প্রাঙ্গনেই।”

Free Access

Related Articles