কলকাতারাজ্যের খবর

উৎসবে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় বিশেষ জোর শিয়ালদহ শাখায়, থাকছে একগুচ্ছ ব্যবস্থা

Special emphasis on passenger safety and security at the Sealdah branch, there are a number of measures in place

Truth Of Bengal: Saif Khan: দুর্গাপুজো আসন্ন, মাত্র কয়েকদিন বাকি। পুজো প্যান্ডেলগুলির প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। কেনাকাটা জোরকদমে চলছে। এই উৎসবে শিয়ালদহ ডিভিশন যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিচ্ছে। পুজোর সময়ে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিয়ালদহের ডিআরএম সমস্ত শাখা অফিসারদের নিয়ে এ বিষয়ে শুক্রবার বৈঠক করেছেন। ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়ে চলবে, প্যান্ডেলের পাশে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলি চলাচলে নিয়ম মেনে চলা সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিচে দেওয়া হল সেই ব্যবস্থাগুলির তালিকা:

১। ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর দিনগুলিতে শিয়ালদহ শাখার গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামবে এবং ট্রেন চলাচলে বাড়তি নজর দেওয়া হবে।

২। শিয়ালদহ শাখার আশেপাশের রেল লাইনের ১০-২০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৫০টি পুজো মণ্ডপ থাকায়, ভিড় সামাল দেওয়া এবং যাত্রী সুরক্ষার জন্য আরপিএফ মোতায়েন থাকবে, স্থানীয় থানার পুলিশের সহায়তায়।

৩। দর্শনার্থীদের জন্য শিয়ালদহ, দমদম, কলকাতা এই তিন স্টেশনে ‘MAY I HELP YOU’ বুথ থাকবে, যেখানে স্থানীয় থানা, হাসপাতাল, দমকলের জরুরি নম্বর পাওয়া যাবে।

৪। পুজোর সময় বারসত, খড়দহ, বালিগঞ্জ, বারাকপুর, সোনারপুর, বনগাঁ, বারুইপুর, রানাঘাট ও বহরামপুর স্টেশনের লেভেল ক্রসিং সামলানোর দায়িত্বে আরপিএফ থাকবে, ভলেন্টিয়ার্সরাও সহযোগিতা করবে।

৫। উৎসবের দিনগুলোতে শিয়ালদহ স্টেশনে বিকাল ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ট্রলি চলবে না।

৬। প্রতিটি স্টেশনে বাড়তি আলো লাগানো হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনের রাস্তায় কোনও নির্মাণ সামগ্রী রাখা হবে না।

৭। শিয়ালদহ স্টেশনে পাঁচটি অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা হবে, এবং অস্থায়ী টিকিট বুকিং ক্লার্ক নিয়োগ করা হবে।

৮। স্টেশনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে, পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সব বুথে থাকবে।

৯। শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগর এবং অন্যান্য স্টেশনগুলিতে ট্রেন সংক্রান্ত ঘোষণা এবং সময়সূচির উপর বিশেষ নজর রাখা হবে।

১০। পুজোর দিনগুলিতে প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত পানীয় জল পাওয়া যাবে।

১১। যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত সাধারণ কোচ যোগ করা হবে।

১২। উৎসবের সময়, মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য জিআরপি এবং আরপিএফ এসকর্টের সহায়তায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৩। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে, বিসর্জনের সময় চক্ররেলের চলাচল সীমিত করা হবে।

১৪। বিকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা যাত্রী নির্দেশনার জন্য মোতায়েন করা হবে, এবং সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্সও উপস্থিত থাকবে।

১৫। শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসাতের মতো বড় স্টেশনগুলিতে অসুস্থ যাত্রীদের জন্য ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন, এবং অন্যান্য স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত ফার্স্ট এইড বক্স পাওয়া যাবে।

Related Articles