
The Truth Of Bengal: একদিকে দিল্লিতে তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় আচমকাই নবান্নে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে নানা প্লাকার্ড সহ তিনজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে আসেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই সফর ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় নবান্নে। নবান্নে এসে প্রথমে ভিজিটস রুমে বসে থাকেন শুভেন্দু। প্রায় ৩০ মিনিট নবান্নে ছিলেন তিনি। পরে তিনি দেখা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে
কেন না জানিয়ে তিনি নবান্নে এলেন? এই প্রশ্নে শুভেন্দু জানান, নবান্নে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সে কারণেই না জানিয়ে তাঁদের এই নবান্ন অভিযান। জানিয়ে আসতে চাইলে ওরা নবান্নে ঢুকতে দিত না। তাই না জানিয়েই আমরা চলে এসেছি। নবান্নে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, আমরা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। পিছু তাড়া করবই।’
মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘মুখাসচিবের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়ে গেলাম যে এখানে বিরোধী দলকে ভোট দিলে বয়কট করা হয়। বিরোধী সমর্থকদের উন্নয়ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়। বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। ধিরোধী দলের বিধায়কদেরও উন্নয়নের বৈঠকে ডাকা হয় না। একথাগুলো জানিয়ে যেতেই এদিন নবান্নে এসেছিলাম।’
মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়ার জন্যই শুভেন্দু এদিন আচমকাই নবান্ন সফরে আসেন বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সিংহ যখন ডেরায় থাকে তখন যারা ভয় পায় তারা যায় না।’
Free Access