কলকাতারান্নাঘর

বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় কে সি দাসের রসগোল্লা, ফ্লুরিজের রামবল কেক, বলরাম মল্লিকের সন্দেশ

Rasgolla by KC Das in the list of best sweets in the world

The Truth Of Bengal: বাংলার মিষ্টির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বাংলায় বেড়াতে আসলে দেশবিদেশের পর্যটকরা চেখে দেখেন এমনকী প্যাক করেও নিয়ে যান বাংলার হরেক রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মিষ্টি। বাংলার মিষ্টির সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল ছানার তৈরি রসগোল্লা, সন্দেশের মতো এত সুস্বাদু মিষ্টি আর কোথাওই মেলে না। ভারতের অন্য প্রদেশে যা মিষ্টি পাওয়া যায় তা মূলত, ঘি, বেসন বা ক্ষীরের তৈরি অথবা ভাজা মিষ্টি। কিন্তু বাংলার মিষ্টি তৈরি হয় ছানা দিয়ে, দুধের সর দিয়ে। ভাজা মিষ্টি বা চিনির তৈরি মিষ্টি বা কনকচূড় খই দিয়ে তৈরি মোয়া অথবা ফল দিয়ে তৈরি মোরব্বা। সব মিষ্টিরই রয়েছে আলাদা রকম বৈশিষ্ট্য। Taste Atlas নামক আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানান রকম মিষ্টি জাতীয় পদ নিয়ে সমীক্ষা চালায়। Taste Atlas হল একটি এক্সপেরিমেন্টাল ট্রাভেল অনলাইন গাইড। তাদের করা সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় নাম উঠেছে কলকাতার কে সি দাসের রসগোল্লা, কনফেকশনারি ফ্লুরিজ কেকশপের রামবল কেক আর বলরাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিকের সন্দেশের। Taste Atlas এর তালিকায় ২৫তম স্থানে আছে কে সি দাসের রসগোল্লা। ঠিক তার পরেই অর্থাৎ ২৬তম স্থানে আছে ফ্লুরিজের রামবল কেক। ৩৭তম স্থানে আছে বলরাম মল্লিকের সন্দেশ।

Taste Atlas এর তালিকাতেই বলা হয়েছে ১৮৬৬ সালে স্থাপন করা হয়েছিল কে সি দাসের মিষ্টির দোকান। ১৯২৭ সালে তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী কনফেকশনারি ফ্লুরিজ। ১৮৮৫ সালে স্থাপিত হয় বলরাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিকের মিষ্টির দোকান। টেস্ট অ্যাটলাসের বিবরণেই বলা হয়েছে, কেক, পেস্ট্রির হরেক রকমের সম্ভার থাকলেও ফ্লুরিজের খ্যাতি স্পঞ্জ কেক, রাম ও কোকো দিয়ে তৈরি রামবল কেকের জন্যই।Taste Atlas এর সেরা মিষ্টির তালিকায় জায়গা পেয়েছে ভারতের ৩টি মিষ্টি। ১৮তম স্থানে আছে পুনের কায়ানি বেকারির মেওয়া কেক। ১৯৫৫ সালে তৈরি হয় পুনের এই দোকানটি। তালিকায় ২৯তম স্থানে আছে হায়দরাবাদের করাচি বেকারি। ১৯৫৩ সালে নির্মিত করাচি বেকারির ফ্রুট বিস্কুট জায়গা করে নিয়েছে সেরা মিষ্টির তালিকায়। এছাড়াও ১৯৫৩ সালে নির্মিত মুম্বইয়ের কে রুস্তম অ্যান্ডকোম্পানির তৈরি আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সেরা মিষ্টির তালিকায় ৪৯তম স্থানে আছে। শুধু মিষ্টিই নয়। কয়েক দিন আগেই বিশ্বের সেরা ৫০ রুটির তালিকাও প্রকাশ করেছে Taste Atlas। বিশ্বের সেরা রুটির সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের বাটার গার্লিক নান। সামগ্রিক ভাবে অষ্টম স্থানে আছে নান।

২৬তম স্থানে আছে অমৃতসারি কুলচা। ২৭তম স্থান দখল করেছে রুটি। ২৯তম স্থানে ছিল পরোটা। জনপ্রিয় রুটির তালিকায় শীর্ষে আছে মালয়েশিয়ার রোটি কানাই। দ্বিতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়ার প্যান দে বোনো। এছাড়াও লাভাশ, টরটিলা, পিটা ব্রেডের মতো জনপ্রিয় ব্রেডও জায়গা পেয়েছে তালিকায়। ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সেরা ৫০ মিষ্টির তালিকা প্রকাশ করেছে Taste Atlas। সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ঐতিহ্যবাহী কনফেকশনারি “পাস্তেইস দে বেলেম”-এর পাস্তেল দে বেলেম পেস্ট্রি। ১৮৩৭ সালে নির্মিত হয় এই কেকশপ। ১৮৬৪ সালে ইস্তানবুল শহরে নির্মিত হাফিজ মুস্তাফা নামক আরেক প্রাচীন মিষ্টির দোকানের বাকলাভা রয়েছে সেরা মিষ্টির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়াও প্যারিসের অ্যাঞ্জেলিনার মঁ ব্লাঁ রয়েছে ১৯তম স্থানে। নিউইয়র্ক সিটির জুনিয়র্সের নিউইয়র্ক স্টাইল চিজকেক রয়েছে ২৮তম স্থানে। এছাড়াও মাদ্রিদ, রোম, ভিয়েনা, প্রাগ, বুদাপেস্ট, লিসবন শহরের বিভিন্ন ক্যাফে, কনফেকশনারির সুস্বাদু ডেজার্টও জায়গা পেয়েছে সেরা মিষ্টির তালিকায়।