রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে শনিবার উপাচার্যদের নিয়ে রাজভবনে বৈঠক
Rajbhaban meeting with vice-chancellors on Saturday amid state-governor conflict

The Truth of Bengal: উপাচার্য নিয়োগের জন্য ৩১জনের নাম প্রস্তাব করে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল ৬জনের নাম গ্রহণ করলেও বাকিদের নাম প্রত্যাখান করে। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে শনিবার উপাচার্যদের নিয়ে রাজভবনের আধিকারিকরা রাজভবনে বৈঠক করে। বৈঠকে হাজির ছিলেন সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়,ভাস্কর গুপ্ত,অনুরাধা মুখার্জি,রঞ্জন চক্রবর্তী,সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন না অমিতাভ দত্ত,দীপঙ্কর সিনহা।
গত মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকারের তৈরি তালিকা থেকেই ৬’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট জানায়, ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বাদ দিয়ে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছে তালিকা পাঠাবে। সেইমতো রাজ্যের তরফে ৩১জনের নাম প্রস্তাব করা হয়।কিন্তু রাজ্যপাল ৬জনের নাম গ্রহণ করলেও বাকি নাম প্রত্যাখান করে।এরমাঝে শনিবার রাজভবনে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠক হয়। রাজভবনে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং অধ্যাপকরা বৈঠক করেন রাজভবনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে। প্রথমে এই বৈঠকে রাজ্যপালের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, শেষমেষ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যপাল ।
এই বৈঠকের মূলত উদ্দেশ্য যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য বিহীন রয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্যই এই বৈঠক।বৈঠকে হাজির ছিলেন সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়,ভাস্কর গুপ্ত,অনুরাধা মুখার্জি,রঞ্জন চক্রবর্তী,সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকে হাজির ছিলেন না অমিতাভ দত্ত,দীপঙ্কর সিনহা। এই অবস্থায় রাজ্যপাল কী সিদ্ধান্ত নেন তার দিকে তাকিয়ে শিক্ষামহল।আদালতের গাইডলাইন অনুযায়ী, আচার্যই নিয়োগ করবেন উপাচার্যদের এবং সেই নাম বেছে নিতে হবে রাজ্য সরকারের সুপারিশ করা তালিকা থেকেই। এই অবস্থায় যদি রাজ্য সরকারের তালিকায় পাঠানো কয়েকটি নাম আচার্য বাতিল করেন, তা হলে তাঁরই দায়িত্ব রাজ্যের কাছে আরও নাম চেয়ে পাঠানো।এখন রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস কোন পথে হাঁটে তা লক্ষ্যণীয়।