আপাতত এফআইআর দায়ের নয়, ৪ আধিকারিককে সাসপেন্ড নবান্নের
এই পদক্ষেপ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফ থেকে।
জয় চক্রবর্তী, কলকাতা: ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলার অভিযোগে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করল নবান্ন (Nabanna)। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আপাতত এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: প্রেমে সমস্যা থেকে হতে পারে স্বাস্থ্যের অবনতি! এই চার রাশির জন্য সতর্ক বার্তা]
৮ অগস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এএইআরও)। কমিশনের তরফে তাঁদের সাসপেন্ড করে এফআইআর দায়ের এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই পদক্ষেপ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, ‘আমি কাউকে কোনও শাস্তি হতে দেব না।’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভোটের এখনও অনেক দেরি। অথচ কমিশন অতিসক্রিয় হয়ে এখন থেকেই আধিকারিকদের সাসপেন্ড করছে।’ কমিশনের পাল্টা চিঠি দেয় রাজ্য সরকার (Nabanna)।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই চিঠিতে খুশি ছিল না কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই গত ১৩ অগস্ট মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হলেও এফআইআর আপাতত করা হচ্ছে না। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।





