ডেঙ্গুর দাপট বাড়ছে, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের
৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না

The Truth of Bengal: রাজ্যে কদিন ধরেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, আর এর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে নাতো? এই প্রশ্নাটই ঘুরপাক করতে শুরু হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে প্রেস্ক্রিপশন অডিট করা হবে। সরকারি এবং বেসরকারি সব ধরণের হাসপাতালেই সিসিইইউতে নিয়মিত সোয়াব সংগ্রাহ করা হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, চিকিৎসকদের একাংশ অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন রোগীদের। সাধারণ মানুষও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে কখনও নিজেরাই ডাক্তারি করতে গিয়ে মুড়ি মুড়কিরমতো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন। সামান্য কিছুতেই অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। যার ফল দাঁড়াচ্ছে ভয়ংকর। ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। অর্থাৎ রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে। ‘আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট’ সংক্রমণ নিরাময়ে আগে পেনিসিলিন গ্রুপের ড্রাগ ব্যবহার করা হত। কিন্তু এখন বহুক্ষেত্রেই সেফালোস্ফোরিন ছাড়া কাজ হচ্ছে না।
সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৩২ হাজার কেস স্টাডি করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট রীতিমতো ভয় ধরানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট। গোটা দেশের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে বাংলা শীর্ষে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর্তা, ডাক্তারদের এই ব্যাপারে তিনি সতর্ক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না, এই অজুহাতে হাসপাতালের সিসিইউ বা আইসিইউ-কে প্রোটোকল মেনে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না। এর ফলে বহু রোগী হাসপাতাল গিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন। কেউবা ছুটির সময় সংক্রমণ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ফলত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বাড়ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে এই বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।