কলকাতা

এই দিনটি গণতন্ত্রের কালো দিন, দিল্লি পুলিশের আচরণে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার

সাক্ষাতের সময় দিয়েছিলেন, অথ্চ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দেখা করেননি

The Truth of Bengal: অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে দিল্লি পুলিশ যা করেছে, তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার কণ্ঠরোধ করতে অত্যাচারের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তুলে ধরলেন বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ণের কথা।

একশো দিনের কাজের টাকা, আবাসযোজনার টাকাসহ বাংলার একাধিক প্রকল্পের অর্থ বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে দুদিনের দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূলকংগ্রেস। বিক্ষোভে সামিল হন, সাংসদ, বিধায়ক থেকে কর্মীসমর্থকেরা। এমনকী আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ার কারণে চলতি বর্ষার মরসুমে কাঁচা বাড়ি ভেঙে তিন শিশুকে হারিয়েছেন, এমন সাধারণ মানুষও। আন্দোলন কর্মসূচির প্রথম দিনে, রাজঘাটে মৃদু বিবাদ দেখা যায়। যদিও গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে, তৃণমূলনেতৃত্ব উস্কানি সত্ত্বেও বিবাদে জড়াতে চায়নি। কিন্তু আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে যা হল, দিল্লি পুলিশের আচরণ স্তম্ভিত করেছে, সাধারণ মানুষকে। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্টে কবিগুরুকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন – “দু বেলা মরার আগে, মরব না ভাই, মরব না”।

মঙ্গলবার কৃষিভবনের ভিতরে বসে থাকা তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপর পুলিশি বাড়ে। সাক্ষাতের সময় দিয়েছিলেন, অথ্চ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দেখা করেননি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। উলটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ  দলের বর্ষীয়ান ও মহিলা জনপ্রতিনিধিদের কার্যত টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর পুলিশ ভ্যানে তুলে তাঁদের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় উৎসব সদনের পুলিশ লাইনে। সেখানেও দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখা হয়। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই আরও জোরদার করার বার্তা দেন।

Related Articles