ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রে হুঁশ নেই পুলিশের, তদন্তকারীদের নজরে দুই কলকাতা পুলিশ
Kolkata Police Officers Under Investigation in Fake Passport Scam

Truth of Bengal: ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের অভিযোগে পুলিশের জালে বহু প্রতারক ও বাংলাদেশী। গত মাসে প্রায় অনেক ভুয়ো পাসপোর্ট সহ জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত অপরাধুনীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এবার এই তদন্তের মাঝেই তদন্তকারীদের নজরে দুই পুলিশকর্মী। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে , অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা বর্তমানে কলকাতা পুলিশে কর্মরত। পাসপোর্ট তৈরিতে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে আবেদন করা সত্ত্বেও ওই দুই পুলিশকর্মী সঠিকভাবে সবকিছু যাচাই করেননি এবং নিজেদের কাজে এগিয়ে গিয়েছেন। এই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কাজের গাফিলতির অভিযোগ এনেছে তদন্তকারীরা।
জানা যায়, ওই পুলিশকর্মীদের এক জন আবার অন্য জনের হয়ে কাজ করে দিয়েছেন এমনটাও অভিযোগ রয়েছে।তদন্তকারীরা এক প্যালিস কর্মীর সাথে কথা বলেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যে গাফিলতি সামনে এসেছে, তাতে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ তদন্তকারী দল।
লালবাজার আরও জানিয়েছে, এই দু’জন ছাড়াও পুলিশের নজরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রভাবশালী। তাঁর সঙ্গেই এই ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের মূল মাথার যোগাযোগ রয়েছে বলে পুলিশের মনে করছেবন। প্রসঙ্গত, ভুয়ো পাসপোর্টের তদন্তে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে দু’জন ডাকঘরের কর্মী। তাদের নাম তারকনাথ সেন এবং দীপক মণ্ডল। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যতম দুই মাথা, সমরেশ বিশ্বাস এবং মনোজ গুপ্তকে।এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে মোক্তার আলম এবং দীপঙ্কর দাস নামে দু’জন এবং সমরেশের ছেলে রিপনকে।
প্রভাবশালী অভিযুক্তের ব্যবসা রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে । তাঁর কাজ বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দেশে নিরাপদে আশ্রয় করে দেওয়া। এর পরে ওই বাংলাদেশিদের ছবি-সহ বিভিন্ন ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর জন্য তাদের তুলে দেওয়া হত মনোজ গুপ্তর হাতে। এর পরে দীপঙ্কর, সমরেশ, তারকের মাধ্যমে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানো ও পাসপোর্টের আবেদনের কাজ হত। এখানেই তদন্তকারীরা অভিযোগ করেন, ওই পুলিশকর্মীরা কিছু যাচাই না করেই আবেদনপত্র পাস্ করিয়ে দিতেন। গত দু’বছরে এই চক্র ৭৩টি ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়েছে। পুলিশের অনুমান এর সাথে আরও অনেকেই জড়িত তারই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।