কলকাতা

ফের খাস কলকাতায় বাড়ি ভেঙে বিপত্তি, ঘটনাস্থলে দমকল ও উদ্ধার বাহিনী

Khas Calcutta house breaking hazard again, fire brigade and rescue forces at the scene

The Truth Of Bengal : গার্ডেনরিচ ও বিরাটি কাণ্ডের পর এবার ফের একবার বাড়ি ভেঙে বিপত্তি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ পাথুরিয়াঘাটা এলাকায়। ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলার দল। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এলাকার বিধায়ক শশী পাঁজা ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনা হাজরা। একতলার সিঁড়ি ভেঙে যাওয়ায় দোতলায় আটকে পড়েন দু’জন।

সুখের খবর, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ পাথুরিয়াঘাটায় হঠাৎ একচলার সিঁড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় আটকে পড়েন বিশ্বামিত্র উপাধ্যায় নামে বছর ৩৬ এর এক ব্যক্তি এবং বছর ৪৮ এর প্রভাদেবী সিং। এরপর দমকল বাহিনী এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এছাড়াও খবর দেওয়া হয় উদ্ধারকারী টিমকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলার দেওয়াল ভেঙে আটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। এরপর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় দুজনকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

প্রসঙ্গত, এই বাড়িটি ৮০/১ নম্বর ইতিমধ্যেই এটি বিপজ্জনক বাড়ি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশেরই একটি জমিতে বহুতল উড়তে চলেছে। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, পাশের জমিতে বিল্ডিং তৈরির ফলে পাইলিং করার জন্যই এই বিপত্তি। স্থানীয়দের কথায়, তাদের সেই বাড়ি থেকে অন্যত্র যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এরই মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন বিধায়ক শশী পাঁজা, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনা হাজরা এবং ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা।

শশী পাঁজা জানান, “কেউ আহত হননি। তবে তাঁদের অস্থায়ীভাবে থাকার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা যায় না। জানি অনেকের মনে প্রশ্ন আসে, কোথায় যাব? তবু বিপদে তো থাকতে পারবেন না। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে আমি সবটা বলেছি। আমরা দেখে নিচ্ছি। ওনাকে প্রতিটা রিপোর্ট দেওয়া হবে। কলকাতা পুরনিগম অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুর ইঞ্জিনিয়াররা ঘুরছেন।”

এই দুর্ঘটনার পর বাড়ির এক বাসিন্দা জানান, ” তিন বছর আগেও এই বাড়ির অবস্থা এমন ছিল না। ৮০/২-এ ছিলাম আমরা। প্রোমোটার কাজ করার জন্য আমরা শিফ্ট করি। প্রোমোটার শোভাবাজারে যেতে বলেছিলেন। আমরা যেতে চাইনি। বলি এখানেই দিয়ে দিতে। কিন্তু পাশে মেশিন এনে খোঁড়ার কাজ শুরু হতেই এ বাড়ির মাটি আলগা হতে থাকে।” এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিজেপি জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ।

সূত্রের খবর, কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, পাথুরিয়াঘাটার ওই বিপর্যস্ত বাড়ির মালিক বারবার ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া দের অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বাড়ির মালিক গোটা বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি নির্মাণ করার কথাও জানিয়েছিলেন। এমনকি কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করে। ওই বিল্ডিংটার এর মধ্যে ভাড়াটিয়াদের নাম উল্লেখ ছিল এমনটাই জানা যায়। নতুন বাড়ি তৈরি হলে সেখানে ভাড়াটিয়াদের স্থান দেওয়া হত।

Related Articles