
Truth Of Bengal: বাংলা নববর্ষ, পয়লা বৈশাখের প্রাক্কালে বাঙালিয়ানার চেতনাকে কেন্দ্র করে এক ভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হল। আইটিসি সানরাইজ ও ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই নতুন অ্যান্থলজির প্রিমিয়ার এর আয়োজন করেছিল।
প্রাণবন্ত এক উৎসবের মধ্য দিয়ে আইটিসি সানরাইজ স্পাইসেস এবং বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই আয়োজন করেছিল ‘স্বাদকাহন’-এর। দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা বাঙালিয়ানার চিরন্তন রূপকে উদযাপন করল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলার পরিচয়–যা গঠিত হয়েছে খাদ্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতি, স্মৃতি এবং গল্পের সমন্বয়ে–তাকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
দশকের পর দশক ধরে সানরাইজ শুধুমাত্র একটি মশলার ব্র্যান্ড নয়, বরং বাঙালি সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। দুর্গাপুজো থেকে পয়লা বৈশাখ, জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজ থেকে ঋতুভিত্তিক বিশেষ খাবার—সানরাইজ হয়ে উঠেছে বাংলার প্রতিটি রান্নাঘরের একান্ত অঙ্গ।
কলকাতার সিটি সেন্টার ২-এ অনুষ্ঠিত দুই দিনের ওই অনুষ্ঠানটি সানরাইজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পয়লা বৈশাখকে জীবন্ত করে তুলেছিল—স্মৃতিময় সুবাসে ভরা, গল্পে ভরা, আর বাঙালিয়ানার জাদুতে মোড়ানো ওই মন মুগ্ধকর উৎসবে ছিল ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রান্না করা খাবারের পথচলা, ইন্টার অ্যাকটিভ গল্প বলার সেশন, আড্ডা কর্নার, আর্টিসান ক্রাফট নিয়ে হ্যান্ডস-অন ওয়ার্কশপ যেখানে আধুনিক ছোঁয়ার সাথে মিশেছিল বাংলার ঐতিহ্য। সঙ্গীত পরিবেশন করেন অর্পণ খ্যাপা,কালেকটিভ ও সঞ্জয় মণ্ডল অ্যান্ড গ্রুপ। এছাড়াও জনপ্রিয় ফুড ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে এক জমজমাট কুক-অফ ছিল, প্রতিটি মুহূর্তেই ফুটে উঠেছিল বাঙালিয়ানা, মিলনের আনন্দ, আর সংস্কৃতির ঐতিহ্যের গর্ব।অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ‘স্বাদকাহন’ অ্যান্থলজির প্রিমিয়ার—সানরাইজ স্পাইসেস এবং হইচই-এর যৌথ উদ্যোগ। ওই প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন কনীনিকা সহ জনপ্রিয় আঞ্চলিক তারকারা, যাঁরা পুরো সন্ধ্যাকে এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতায় পরিণত করেন।
এই প্রসঙ্গে, সানরাইজ স্পাইসেস-এর বিজনেস হেড পিয়ুষ মিশ্র বলেন,‘সানরাইজ প্রতিটি বাঙালি ঘর, উৎসব ও ঋতুর অংশ। আমরা দশকের পর দশক ধরে মানুষ, খাবার ও গল্প উদযাপন করে চলেছি। হইচই-এর সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেই ঐতিহ্যকে আরও বিস্তৃত করেছি—খাবার ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এমন গল্প বলা যা ঘরের মতোই লাগে—যা বাস্তব, আবেগময় এবং বাঙালিয়ানায় ভরপুর।’হইচই-এর মুখপাত্র বলেন, ‘স্বাদকাহন-এর মাধ্যমে আমরা এমন গল্প বলতে চেয়েছি যা ব্যক্তিগত হলেও সার্বজনীন, যা প্রতিদিনের বাঙালি জীবনের জাদুকেই তুলে ধরে। সানরাইজের সঙ্গে সহযোগিতা, যারা বাংলার সংস্কৃতি ও খাবারের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত, আমাদের সেই গল্পগুলোকে আরও বাস্তব ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।’
চার পর্বের এই সিরিজটি প্রতিদিনের বাঙালি জীবনের হৃদয়কে স্পর্শ করে—ভালবাসা, পরিচয়, পুনরাবিষ্কার আর স্বাদের গল্পে গাঁথা। একজন ছেলে তাঁর মায়ের রান্নার ঐতিহ্যের সঙ্গে পুনঃসংযোগ করে—সঙ্গে থাকে সানরাইজ শাহি গরম মশলার উষ্ণতা,একজন নারী খুঁজে পায় নিজের কণ্ঠ—এক পুরনো গানের খাতার পাতায়,এক তরুণ দম্পতি খুঁজে পায় ভালবাসাকে—পরম্পরার মধ্যে দিয়ে, এক বাবা ফিরে পায় তার রান্নার প্রতি ভালোবাসা—সানরাইজ সর্ষে পোস্ত আর সানরাইজ সর্ষে গুঁড়ো দিয়ে সেই পুরনো পরিবারের প্রিয় রেসিপিগুলো বানিয়ে।’ স্বাদকাহন’ বাংলার জীবনকে ছুঁয়ে যায়—সেই রীতিনীতিগুলিকে উদযাপন করে যা প্রতিদিনকে বিশেষ করে তোলে, আর প্রতিটি খাবার হয়ে ওঠে এক গল্প।