
The Truth of Bengal: পুকুর ভরাট একেবারেই রেয়াত করা হবে না। একাধিকবার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুকুর ভরাটের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবে, তাদের তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া হওয়ার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন বারবার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কড়া পুলিশ-প্রশাসন সতর্ক নজর রাখছে সর্বত্র। তেমন ঘটনা ঘটলে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এখন আগের থেকে অনেক কমেছে পুকুর বা জলাশয় ভরাটের মতো ঘটনা। তবে তারপরও কোনও কোনও জায়গায় লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। তেমনই ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে।
সেখানে ২২ কাঠা জমির মধ্যে একটি সাড়ে পাঁচ কাঠার পুকুর ছিল। সেই পুকুরটি একটি নির্মাণকারী সংস্থা অবৈধ ভাবে ভরাটের উদ্যোগ নেয়। এলাকাবাসী একটি মাস পিটিশন জমা দেয় পুরসভায়। পরে পুরসভা থেকে সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠানো হয়। খবর যায় এলাকার বিধায়ক ব্রাত্য বসু এবং পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরি চৌধুরির কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ব্যবস্থা নেন। ওই ২২ কাঠা জমির মধ্যে যে অংশ ভরাট হয়েছিল সে অংশটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জেসিবি দিয়ে ভরাট করা মাটি সম্পূর্ণ তুলে ফেলা হয়।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপে খুশি এলাকার মানুষ।পুকুর থেকে যখন মাটি তোলা হচ্ছিল, তখন এলাকায় উপস্থিত হন কাউন্সিলর বিউটি হালদার। কাউন্সিলর জানিয়েছেন যে, তিনি বিষয়টি কিছুই জানতেন না। তবে তিনি এই অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ যে ভাবে রুখে দাঁড়ায় এবং তাতে প্রশাসন যে ভাবে এগিয়ে আসে, তাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পুকুর ভরাট। প্রশাসনের কড়া মনোভাবকে সাধুবাদ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, পুকুর ভরাট বন্ধে কড়া নজর রাখুক প্রশাসন। যাতে কোনও অসাধু চক্র পুকুর ভরাট না করতে পারে।