রাজ্যপাল ‘সাদা হাতি’ সুর চড়িয়ে আক্রমণ ব্রাত্যর, পাল্টা মুখ খুললেন দিলীপ
এখন সেই পদ রাখার কী যৌক্তিকতা আছে? ওই পদে থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন।

The Truth of Bengal: গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য ও রাজভবনের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যসরকারকে এড়িয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাতেই চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের কিছু নেতাও, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি। এবার রাজ্যপালকে সাদা হাতি বলে কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য বসু।
ব্রাত্য বসু, রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে কখনও বলেছেন জেমস বন্ড, কখনওবা ভ্যাম্পায়ার, এবার আরও এক বিশেষণে ভূষিত করলেন তিনি বললেন সাদা হাতি। শনিবার ধর্মতলায় তৃণমূল শিক্ষা সেলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে নিশানা সাধেন। এমনকী রাজ্যপালের পদের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সাদা হাতির মতো পদ তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রয়োজনে। কিন্তু এখন সেই পদ রাখার কী যৌক্তিকতা আছে? ওই পদে থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন। এটা কবিদের স্থান। রাজভবনেও এক কবি বসে আছেন। কিন্তু তিনি কুমোরের কবি নন, কামারের কবি নন, তিনি রাজার কবি।” তিনি এই পদের অবলুপ্তিও চেয়েছেন।
শনিবারই দিল্লি থেকে ফেরেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁকে বিমানবন্দরে এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়, পাল্টা তিনি নিশানা সাধেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। বললেন, মুখ্যমন্ত্রী জীবনে কোনওদিন কাউকে সম্মান করেছেন? প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে কাকে কী বলেন, ঠিক নেই। সেই জন্য মান-সম্মানের কথা বলবেন না। কাজের কথা বলুন। আপনারা কাজ করতে জানেন না, আপনারা ধমকে চমকে কাজ করাতে চাইছেন। রাজ্যপাল ওই মাটির মানুষ নন। আর ওনার গায়ের রং তো সাদা নয়, কেন সাদা হাতি বলা হচ্ছে, আমি জানি না। রাজ্যপালের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, উনি যথেষ্ট কর্মদক্ষ মানুষ। বহু জায়গায় কাজ করেছেন। এরকম মন্ত্রী-শান্ত্রী পকেটে নিয়ে উনি ঘুরেছেন।
দিলীপের এই মন্তব্যের পরেই দেখা দিয়েছে নয়া বিতর্ক, রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, মন্ত্রী শান্ত্রীদের পকেটে নিয়ে ঘুরেছেন কথা অর্থ কী? সিভি আনন্দ বোস ছিলেন একজন আইএএস অফিসার। তিনি সংবিধানের তিনটি স্তম্ভের এক্সিকিউটিভ পিলারের অঙ্গ ছিলেন। অর্থাৎ মন্ত্রীদের নির্দেশ মান্য করাই ওনার কাজ ছিল। আর রাজ্যপাল কোনও নির্বাচিত পদ নয়, নিয়োগ করা হয়েছে। সংবিধানে এক্সিকিউটিভ পিলার আইন প্রণেতাদের উপরে কবে থেকে হল? অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে। উনি রাজনৈতিক নেতা, হয়তো কোনও দিন মন্ত্রী হবেন। তার মানে কি উনি কোনও আমলার পকেটে পকেটে ঘুরবেন?