অভিযানের নামে চরম বিশৃঙ্খলা, রক্তাক্ত-জখম বেশ কয়েকজন পুলিশ
Extreme chaos in the name of campaign

Truth of Bengal: নবান্ন অভিযানের নামে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিজেপির আন্দোলনকারীরা। জায়গায় জায়গায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা হয়। হাওড়া ময়দানে চণ্ডীতলা থানার আইসির মাথা ফাটে, আন্দোলকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মী। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধে রক্তারক্তি হয় রাজপথে। বাবুঘাটে বাইকে আগুন ধরায় আন্দোলনকারীরা। বিজেপির হিংসা ও অরাজকতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী শিবিরের চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ায় তাঁরা ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে বলে সরব হন কুণাল ঘোষ।
সোমবারই স্টিং অপারেশনে ফাঁস হয়ে যায় বিজেপির অভিসন্ধি।অরাজকতা সৃষ্টি করতে বডি চাই বলে কথপকোথনে তুলে ধরেন অভিযুক্ত গেরুয়া নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়ে বিজেপির মুখোশ খুলে দেয় বলে দাবি করে। আর মঙ্গলবার গেরুয়া সমাজের বিশৃঙ্খলা টের পেয়ে সরে আসে অধিকাংশ ছাত্র-যুব। দেখা যায়, হাতে জাতীয় পতাকা আর মুখে চড়া সুরে স্লোগান দিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়া দাপিয়ে বেড়ায় আন্দোলনকারীরা।যাঁদের অধিকাংশই ছাত্র নয়।
মধ্যবয়স্ক থেকে প্রবীণ সবাই সেই ছাত্র সেজে তাণ্ডব করতে চায় বলে অভিযোগ উঠেছে। দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই এই স্লোগানও তোলা হয়। নির্যাতনকারীর ফাঁসির দাবিকে ছাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেই গলা ফাটাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। এভাবেই রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ফন্দি সফল করতে চায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আড়ালে বিজেপির আন্দোলন ঘিরে রক্তাক্ত হয় রাজপথ।
জায়গায় জায়গায় আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর স্পর্ধা দেখাতে চায়। চোখ রাঙিয়ে নবান্ন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলাও হলেও সেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ রইল না। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে আন্দোলনকারীরা। বাবুঘাটে একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। সাঁতরাগাছিতে দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হেস্টিংসে পুলিসকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট,হাওড়ার ফোরশোর রোডেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারকিড ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
বারবার পুলিশ শান্তিরক্ষার আবেদন করলেও বেপরোয়া বিক্ষোভকারীরা থামেননি। মহাত্মাগান্ধী রোড, হাওড়া ব্রিজেও তাই পুলিশ কাঁদনে গ্যাস ছুড়ে বা লাঠিচার্জ করে অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। তবুও পুলিশ শান্তি বজায় রাখার জন্য সংযমের পরিচয় দেয় বলে কোনওরকম অশান্তি সৃষ্টি হয়নি। তাই আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় বাংলার মানুষ সাড়া দেয়নি বলে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে রাজ্যের মন্ত্রীরা।
বিজেপির গেমপ্ল্যান ফ্লপ করেছে,বিরোধী শিবিরের হিংসা সৃষ্টির চক্রান্ত কাজ দেয়নি বলেও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন। আসলে ছাত্র আন্দোলনের নামে প্ররোচনা দেওয়া হয়।তিনি আরও স্পষ্ট করেন, ওরা জীবন্ত লাশ চেয়েছিলেন,কিন্তু মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ,সরব হন,বিজেপির আন্দোলন আসলে ছাত্রসমাজের নামে হলেও সমাজবিরোধীদের তাণ্ডব।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ,আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা জখম হয়েছে তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করেছেন। তাই আসলে বিজেপির মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার কৌশল ও চক্রান্ত বাংলার মানুষ প্রত্যাখান করেছে বলেই ২৮অগাস্ট বাংলায় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই হিংসামুক্ত বাংলার পরিবেশ রাখতে ও শিল্প-বাণিজ্যের স্বার্থে এই নৈরাজ্যসৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।