একশো দিনের টাকা বন্ধের রাজনীতি, চব্বিশে বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নামার আশঙ্কা সংখ্যালঘু সেলের নেতার
একশো দিনের টাকা বন্ধের ফলে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যে বহু গরিব মানুষ

The Truth of Bengal: দুর্নীতি আটকাতে কেন্দ্র সরকার যে পথ নিয়েছে, তা কার্যত বুমেরাং হতে চলেছে। এমনই আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা সামসুর রহমান। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের বকেয়া একশো দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। আর এই ইস্যুতে হাতিয়ার করেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিশ্রুতি মতো তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে দুদিনের প্রতিবাদ, অবস্থান বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। দলের অভিযোগ, কথা দিয়েও, দেখা করেননি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী এমনকী প্রতিমন্ত্রীও। দিল্লির পর এবার কলকাতায় ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূল। আর এতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু প্রশ্ন, রাজনৈতিক এই দড়িটানাটানিতে ক্ষতি কাদের হচ্ছে?
বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহসভাপতি সামসুর রহমান একটি চিঠি লিখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, একশো দিনের টাকা বন্ধের ফলে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যে বহু গরিব মানুষ। এতে আখেরে চব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে। যার ফলে, দলেরই একটা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে। তিনি অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের গরিব মানুষের কথা ভেবে, একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার ব্যবস্থা করা হোক।
সামসুর রহমান আরও লিখেছেন, এই ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তারা শাস্তি পাক, তাঁরা চান। বাংলার মানুষ চায় ইডি বা সিবিআই-কে ওই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হোক। দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক। কিন্তু সেই দুর্নীতির জন্য যেন বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ না হয়ে যায়। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।