কলকাতা

সপরিবারে শহিদনগরের “পদ্মালয়ে” পদার্পণ মা দুগ্গার

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal,Mou Basu: শরতের আমন্ত্রণে এখন মেতে উঠেছে গোটা বাংলার প্রকৃতি। “আদ্যাশক্তি মহামায়া”-র আগমন বার্তা পেয়ে আনন্দিত আট থেকে আশি, আপামর বাঙালি। চারিদিকে এখন পুজো পুজো আমেজ। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র হাতে গোনা ক’দিন বাকি। আগমনীর আবাহনে প্রস্তুত ঢাকুরিয়ার শহিদনগর-গাঙ্গুলিপুকুর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। শহিদনগর সার্বজনীন পুজো কমিটির “পদ্মালয়ে” আর ক’দিন পরেই সপরিবারে অধিষ্ঠান করবেন মা দুগ্গা। এবছর ৭৪তম বর্ষে ঢাকুরিয়া শহিদনগর সার্বজনীন পুজো কমিটির থিম “পদ্মালয়ে পদার্পণ”। সামগ্রিক পরিকল্পনা ও সৃজনের দায়িত্বে রয়েছেন থিম শিল্পী মানস রায়। প্রতিমা গড়ছেন সনাতন পাল। আবহ তৈরি করেছেন সিধু (ক্যাকটাস বাংলা ব্যান্ডের) আর আলোর দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশিস দাস।কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। পুজো হোক কিংবা পার্বণ, সারাক্ষণই একটা ” প” বর্ণের খেলা চলে।

ঢাকুরিয়া শহিদনগর সার্বজনীনের থিম “পদ্মালয়ে পদার্পণের” মধ্যেও একটা “প” বর্ণের খেলা রয়েছে। প-কে কেন্দ্র করেই সেজে উঠেছে সমগ্র মণ্ডপ।পুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত পট, পাখা, পুতুল, পদ্ম, প্রদীপ, পুজো, পার্বণ, পাঁচালী, এসবই মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করছেন শিল্পী মানস রায়।তাঁর কথায়, “মণ্ডপ সজ্জায় আমি পিংলার পটচিত্র, বিলুপ্ত হওয়ার পথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী রানি পুতুল বা যো পুতুল ব্যবহার করেছি। এছাড়াও ব্যবহার করা হচ্ছে তালপাতার পাখা, মাটির প্রদীপ। মণ্ডপের শুরুতে থাকছে পুজো পার্বণ। তারপরেই থাকছে কমলকাননে পাঁচালী। এরপরের ধাপে বাঙালির বিভিন্ন পার্বণ যেমন হালখাতা, জামাইষষ্ঠী, শীতলাপুজো, সত্যনারায়ণ পুজো ইত্যাদি পুজো পার্বণের কথা পটচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। একেবারে ভেতরের অংশে থাকবে ” পদ্মালয়”। সেখানে পুতুল আর পাখা দিয়ে সাজানো হবে। পুরো ইকো ফ্রেন্ডলি মণ্ডপ হচ্ছে।”পুজো করার পাশাপাশি সারা বছরই নানান সামাজিক কাজকর্ম করে শহিদনগর সার্বজনীন পুজো কমিটি।

পুজোর সময়ও প্রান্তিক শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ ঢাকুরিয়া শহিদনগর সার্বজনীন পুজো কমিটি। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হবে “যো” বা “রানি” পুতুল। হাওড়া জেলার ঐতিহ্যবাহী এই পুতুল আজ বিলুপ্তির পথে। এখনো নিপুনভাবে এই পুতুল তৈরি করেন হাওড়ার আমতার উদং বাজার অঞ্চলের বাসিন্দা ২ পুতুল শিল্পী, সুব্রত পাল ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা পাল।এছাড়াও মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হবে পিংলার বাসিন্দা পটচিত্র শিল্পী অমিত চিত্রকরের আঁকা নানান পটচিত্র। তুলির ছোঁয়ায় পটচিত্রে ফুটে উঠবে বাংলার নানান পুজো, পার্বণ ও পাঁচালী। এছাড়াও মণ্ডপসজ্জায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বিড়লাপুরের বাসিন্দা শেখ আবুকালাম ও শেখ আনিসুরের পরিবারের তৈরি অসাধারণ তালপাতার পাখা ব্যবহার করা হবে।

Free Access

Related Articles