কলকাতা

শাহী বৈঠক থেকেও বাদ, “প্রয়োজন হয় না” দাবি দিলীপের

Dilip claims he was excluded from the royal meeting, saying it was "not necessary"

Truth Of Bengal: আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার পর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক থেকে বাদ পড়লেন বঙ্গ বিজেপির দাপুটে নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি অভিমানের সুরে জানান যে এখন আর তাঁর যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। এখানেই শেষ নয়, তিনি এটাও জানান যে দরকার হলে তাঁকে ডাকা হয়। যদিও বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান যে ওনাকে নিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মন্তব্যকে ঘিরে জন্মায় বিতর্ক ও একাধিক প্রশ্ন।

দীর্ঘদিন ধরে এই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে একপ্রকার দূরত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যাওয়ায় সেই দূরত্ব আরো ফুটে ওঠে। সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় তাঁকে ডাকা হয়নি। যদিও এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন যে সেখানকার নেতারাই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানেন যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি যদি কলকাতায় হতো, তাহলে তিনি উপস্থিত থাকতেন।

তবে এবার কলকাতার কর্মসূচি থেকেও বাদ পড়লেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকে এই সমস্ত দল একপ্রকার প্রচার শুরু করে দিয়েছে। সংগঠন মজবুত করতে এবং দলীয় কর্মীদের মনবল চাঙ্গা করতে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে শাহের। কিন্তু এবার সেখানেও ডাকা হলোনা দিলীপ ঘোষকে। এমনটা হওয়ায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন যে শীঘ্রই হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরতে পারেন তিনি।

বৈঠক থেকে বাদ পড়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, “যখন সভাপতি ছিলাম, তখন যেতাম। এখন কার্যকর্তাদের সঙ্গেই থাকি। ওনারা যাদের ডাকেন, তারা যায়। আমি নয়। যাওয়ার প্রয়োজন হয়না আমার। আমায় ডাকে যখন প্রয়োজন পড়ে। কি করতে হবে তারাই বলে দেন এবং আমি সেটা পালন করি।” এরপরই রীতিমতো অভিমানের সুর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, “কোন অভিমান নেই। বিজেপির একটা ডিসিপ্লিন আছে। কোন নেতা বা কর্মীকে যেখানে যেতে বলা হয়, সেখানে তারা যায়। সেটা আমি মেনে চলি।” যদিও সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি বলেন, “ওনাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সর্বভারতীয় স্তরে নেওয়া হবে। আপনারা পরে জানতে পারবেন।” এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত দল কি করে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে।

Related Articles