কলকাতা

ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান, জোরদার ই-লার্নিং পদ্ধতিতে

Digital teaching

The Truth of Bengal: আধুনিক যুগে বদল আসছে শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণের পদ্ধতির। ডিজিটাল যুগে বাড়ছে ই-লার্নিংয়ের সুযোগ। অপ্রশস্ত ক্লাসঘরেই কম্পিউটার বসিয়ে চলে লেখাপড়া। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাসঘরের ‘হোয়াইট বোর্ড’-এ পড়ে কম্পিউটারের পর্দায় থাকা লেখা, ছবি এবং ‘ইন্টার-অ্যাক্টিভ’ পাঠের  আনন্দ উপভোগ করে পড়ুয়ারা।কোভিডকাল থেকেই এই অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব বাড়ে। দূর নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পদ্ধতি পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। যারফলে সরকারি স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়ছে।

কারণ আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষালাভের জন্য অনেক অভিভাবকই ডিজিটাল ক্লাসকে বেছে নিতে চায়। যারজন্য তাঁরা বেসরকারি স্কুলকে বেছে নেন। সেকথা মাথায় রেখে সরকারি স্কুলেও আনন্দপাঠের কৌশল বদলাচ্ছে। এবার রায়গঞ্জ স্কুলে চালু করা হল ডিজিটাল-অ্যাটেনডেন্স। ডিজিটাল আইডেনটিটি কার্ড দেখিয়ে এবার স্কুলে প্রবেশ করতে হবে।এযেন উন্নত শিক্ষাদানের সোপানে পা রাখার চেষ্টা। আলাদা অনুভূতি, আলাদা আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক ,সবার মন। বাংলায় এমনিতেই বেসিক লার্নিং-এ এগিয়ে।লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে ড্রপআউট।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে দশম শ্রেণিতে ড্রপআউটের হার ছিল ২২ শতাংশ। সেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ড্রপআউট হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। মূলতঃ কন্যাশ্রী,রূপশ্রী,ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্প পড়ুয়াদের শিক্ষাঙ্গনমুখী করছে।স্কুলের গন্ডিতে আসার ঝোঁক বাড়াচ্ছে। এরমাঝেই এই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় পড়ুয়ারা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে।শিক্ষকরাও নতুন উদ্যমে পড়ানোর রসদ পাচ্ছে। স্বাগত জানাচ্ছেন অভিভাবকরাও। সবমহলই এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের প্রয়াসকে স্বাগত জানাচ্ছে। সবাই চায়,পড়ুয়ার আনন্দমুখর পরিবেশে পড়াশোনার মতোই সুরক্ষাও সমান গুরুত্ব পাক…

Related Articles