
The Truth of Bengal: “আবাস যোজনার বরাদ্দ নিয়ে এবার মমতা সরকারকে চিঠি দিল কেন্দ্র সরকার। শুধু তাই নয়, ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্র কে রিপোর্ট দিতে বলা হল রাজ্য সরকারকে।
চলতি বছরে মার্চ মাসে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, বিডিও, ও জেলাশাসক-রা। এরপর কেন্দ্রের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল, সেই রিপোর্টে ভিত্তিতে এ রাজ্যে আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার।
“কী এমন ছিল সেই রিপোর্টে? কেনইবা বন্ধ করে দেওয়া হল রাজ্যকে বরাদ্দ? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার পাল্টা কেন্দ্রের চিঠি এল নবান্নে। সূত্রে খবর, নদিয়া, কালিম্পং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রকল্পে অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। বাদ যায়নি দুই মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানও। কেন্দ্রের দেওয়া ব্যাখ্যা অবশ্য সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, ইচ্ছা করে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, শুধু তিনটি জেলার অসঙ্গতি নয়, অসঙ্গতি সব জায়গাতেই আছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি , টাকা দিতে হবে, যাঁর প্রাপ্য,তাঁকে দিতে হবে। সেটাতে যাঁরা তালগোল পাকাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন গর্ব করে, ১১ লক্ষ নাম আমি বাতিল করে দিয়েছি। তারমানে ১১ লক্ষ নাম আগে ঢোকানো হয়েছিল, সেটা বাতিলযোগ্য। কে ঢোকালো সেটা? সরকারের লোক, তৃণমূলের লোক না পঞ্চায়েতের প্রধান? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাতে রাজ্য সরকারেরও আগ্রহ নেই, দিল্লির সরকারেরও আগ্রহ নেই। যে টাকাটা মেরেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। সেটা না নিয়ে বিজেপি এমনভাবে করছে, যাতে তৃণমূলের সুবিধা হয়।
দলের রাজ্যসভার সাংসদ ড: শান্তনু সেন বলেন, এই বাংলা বিদ্বেষী, বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি বাংলাকে বঞ্চনা করার জন্য প্রকল্প বানায় এবং সেটা নিয়ে গর্ববোধ করে। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা, সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, প্রথম কিস্তি, সেই টাকা আটকে রেখে দিয়েছেন কেন্দ্রর নরেন্দ্র মোদির সরকার। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা, একশোর দিনে টাকা তারা আটকে রেখে দিয়েছেন। যত ২৪-র লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতি পেরে না ওঠে প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে বাংলার আর্থিকভাবে বঞ্চনা করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।