২২জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে সংহতি দিবস পালন, কর্মসূচির ঘোষণা তৃণমূল সুপ্রিমোর…
Celebration of Solidarity Day across the state on January 22, program announced by Trinamool Supremo.

The Truth Of Bengal: ২২জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কালীঘাটে পুজো দিয়ে শহরে আয়োজন করা হবে সংহতি মিছিল।মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দেন,কোনওভাবেই দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ও আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের একাংশ ভাঙতে দেওয়া হবে না।সরকারি প্রকল্পে গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিজেপি রামআবেগে শান দিচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।কংগ্রেস সেই অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কিন্তু কোনও কর্মসূচি নেয়নি। রাহুল গান্ধীর মতোই তৃণমূল নেতৃত্বও অসহিষ্ণুতার আবহ তৈরির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।এই অবস্থায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে সংহতি দিবস পালনের ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার নবান্ন থেকেই ঘোষণা করা হয়,
- ২২জানুয়ারি কালীঘাটে পুজো দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- মা কালীকে পুজো দিয়ে সামিল হবেন সংহতি মিছিলে
- হাজরা থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত হবে সংহতি মিছিল
- সব ধর্মের মানুষ সেই মিছিলে অংশ নিতে পারবেন
- রাজ্যের জেলা –ব্লকস্তরে সংহতি মিছিল হবে
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সামাজিক বাঁধন শক্ত রাখার ডাক দেওয়া হবে। হাজরা মোড় থেকে ২২ জানুয়ারি মিছিল শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর তা যাবে পার্ক সার্কাস ময়দানে। তৃণমূলের বক্তব্য, গেরুয়া শিবির বিভাজনের উদ্দেশে রাস্তায় নামতে চেষ্টা করবে। তৃণমূল পাল্টা মিছিল করবে সংহতির বার্তা দিয়ে।শুধু অখণ্ড,ঐক্য,সৌহার্দ্রের আবহ বজায় রাখার ডাক দেওয়াই নয়, ধর্মনিরপেক্ষতার মূর্ত প্রতীক রামকৃ্ষ্ণ-বিবেকানন্দের সাধনভূমির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্কাইওয়াক কখনই ভাঙতে দেওয়া হবে না বলে হঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Free Access