আরজিকর কাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে সিবিআই
CBI faces questions from High Court in RGI case

Truth Of Bengal: আরজিকরের তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ না গণধর্ষণ করা হয়? গণধর্ষণ হয়ে থাকলে বাকি অপরাধীরা কোথায়? সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তদন্ত কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ১ বছর ধরে তদন্ত চলছে, সিবিআই কী করছে? আদালত কেস ডায়েরি তলব করেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
আরজিকরের তরুণী চিকিত্সকের নির্যাতনের ঘটনায় নিম্নআদালত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শিয়ালদা আদালত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন দিয়েছে। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করে নির্যাতিতার পরিবার। হাইকোর্টে পরিবারের তরফ সুবিচার চেয়ে মামলা রুজু করা হয়। সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন বিষয়ে হাইকোর্ট মামলা শুনতে চায়নি।
কয়েকদিন আগে শীর্য আদালত হাইকোর্টকে মামলা শোনার অনুমতি দেয়। সেইমতো সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময় হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা–মা। শুনানিতে হাজির ছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানতে চান, রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও আদালতে সরব হন।তিনিও একাধিক প্রশ্ন তোলেন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ১বছর ধরে সিবিআই তদন্ত চলছে, কেন এত সময় লাগছে। আর জি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আবেদন, বদল করা হোক তদন্তকারী সংস্থা, হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলুক। সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট একাধিক প্রশ্নের মুখে ফেলে সিবিআইকে।
সিবিআইকে কেস ডাইরি তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। তদন্তের কোন পর্যায়ে দাড়িয়ে আছে সিবিআই জানতে চায় আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সরব নির্যাতিতার পরিবার। আগামী শুক্রবার এই আরজিকর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।