প্রায় ৪ লক্ষ্য কোটির বিনিয়োগ প্রস্থাব, শান্তির বাংলায় শিল্প গড়ার আহ্বান
Bengal Global Business Summit 2023

The Truth of Bengal: দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হল।সম্পাত্তি অনুষ্ঠান হয় ধনধান্য স্টেডিয়ামে। ২১-২২নভেম্বর দুদিনের এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেন ৪০টির কাছে দেশের প্রতিনিধি ।শুধু ব্রিটেন থেকে আসেন ৪০জনের প্রতিনিধি। সর্বমোট ৫হাজার প্রতিনিধি এই বিশ্বমাণের মহাযজ্ঞে যোগ দেন। প্রথম দিন তারকাখচিত বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছিল নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে।ভবিষ্যত প্রজন্মের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন সাকার করার লক্ষ্যে শিল্পের মহারোহে বিনিয়োগের বান ডাকল। কেন বাংলা শিল্প-বিনিয়োগের শীর্ষ গন্তব্যস্থল তার ব্যাখা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একইসঙ্গে প্রশাসনিক প্রধান, শিল্পপতিদের দরাজ মন নিয়ে এরাজ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে বিনিয়োগ করতে বলেন।বাম আমলের নীতি বদলে শিল্পের জন্য সিংহদুয়ার খুলে দেওয়ার নানা কর্মকাণ্ড উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ,থেকে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সবার সামনে তিনি আশ্বস্ত করেন সরকার সব রকম সাহায্য করবে।তিনি ডাক দেন, সুযোগ বার বার আসে না, যে সুযোগ এসেছে সেই সুযোগ কাজে লাগান।দুদিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানান,৩লক্ষ ৬৭ হাজার ২৮৮কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে,স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৮৮টি মউ।লগ্নি করে দেশি-বিদেশি শিল্পপতিরা যে বাংলায় নির্ভয়ে কারবার করতে পারবেন তাও উল্লেখ করেন তিনি।কারণ কেন্দ্র এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করলেও বাংলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিল্প নির্মাণে যে কোনও বাধা নেই তা স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,ক্ষুদ্র-শিল্প সবসময় সুন্দর। অনেক সময় আমরা অনেক বড় বড় জিনিস দেখি, কিন্তু তারা খুব বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে না। যা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করে দেখায়। গ্রামগুলিই এখন উন্নতির কেন্দ্র। যদি আপনার মিশন থাকে, চাহলে আপনার ভিশন থাকে’ তাহলে বিশ্বজয় যে সম্ভব সেকথা আগামীর রূপকারদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। বিদেশী অতিথি –অভ্যাগতদের কাছে তিনি ব্যাখা করেন এই বঙ্গে কেন শিল্প-কারখানা করা যায়।
ল্যান্ড ব্যাঙ্ক ,সুলভ বিদ্যুত,সস্তার জমি,জমির ফ্রিহোল্ড,শিল্পসহায়ক নীতি সবই যে শিল্পের সূর্যোদয়ের পথ খুলে দেবে তা জানান।বিকল্প নীতিতে ভরসা রাখা বাংলা এরমধ্যে ‘শুধু চর্মশিল্পেই দশ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ৯০লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী সফলভাবে কাজ করছে তাও সবিস্তারে ব্যাখা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই কেন্দ্রকে নিশানা, ‘ একটা জিনিষ কিছুতেই বুঝতে পারছি না কেন আমাদের দেশের শিল্পপতিরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেন তাঁরা সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকেন যে এই বুঝি কোনো এজেন্সি তাদের ঘাড় ধরল’। এদিন তিনি বলেন, ক্যাশলেস ইকোনমি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা প্রশ্ন করছেন, এর মাধ্যমে মোদী সরকারের ডিজিটাল পোগ্রামকেই কি তোপ দাগলেন তিনি?দেউচা পাচামি সহ নানা জায়গায় বাংলার উদীয়মাণ শক্তির বিকাশ বিশ্ব শিল্পের মানচিত্রে যে আলাদা জায়গা আদায় করে নেবে সেই দৃঢ় সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে।
Free Access