‘দখলদারি’ নয়, ভালবাসার টানে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের মানুষ
Bangladeshi people come to Kolkata out of love, not 'encroachment'

Truth Of Bengal: ৪ দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব। ঢাকায় ভারত বিরোধী মিছিল থেকে এই হাস্যকর মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্মী। এই ধরণের মন্তব্য কে কিচোখে দেখছেন বাংলাদেশের মানুষ? সেকথা জানার জন্য বাংলা জাগোর ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল মারকিউ স্ট্রিটে।বাংলাদেশী নাগরিকরা বললেন, তাঁর কোনওভাবেই চান না কলকাতা দখল করতে। বরং দুদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখা যে প্রয়োজন তাও বুঝে দেন ওপার বাংলার বাসিন্দারা।সেদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের মাঝে যে হিংসার রুদ্ররূপ দেখা যাচ্ছে তা যে বড় দুঃখের তাও বুঝিয়ে দেন প্রবীণরা।
পাকিস্তানের হিংসার থাবায় সেদিন, ওপার বাংলার মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। নারীদের লাঞ্চনা, গঞ্জনা, অত্যাচারের হাহাকার শুনে থাকতে পারেনি ভারত। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার মানবিকতার তাগিদে ৭১-এ বাড়িয়ে দিয়েছিল সাহায্যের হাত। দিল্লির সহযোগিতায় খান সেনাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। মুক্তির সূর্যোদয় হয়েছিল পাকিস্তানে। আর ৫৩বছর পর সেই দেশের জামাত, বিএনপির মদতপুষ্ট হাসিনা বিরোধী মানুষ কিনা ভারত বিরোধিতায় মেতে উঠেছে। একথা এপার বাংলার অনেকেই ভাবতে পারছেন না। যেভাবে স্পর্ধার সীমা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্মী বলছেন, ৪দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেওয়া হবে। সেই ঘটনায় নেটদুনিয়ায় হাসির রোল উঠেছে। নেটিজেনরা হাসাহাসি করছেন। কেউ কেউ বলছেন, কী খেয়ে এসব বলছেন?
আবার এক নেটিজন বলেছেন, ‘ওঁরা ভাবছেন, ভারতের যে যে দূরপাল্লা ও মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আছে, সেগুলো স্রেফ সাজিয়ে রাখা আছে এবং সেগুলো শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ব্যবহার করা হয়।’যে দেশের মানুষকে এখনও ভারতীয় চিকিত্সার ওপর নির্ভর করতে হয়,যে দেশের মানুষে ক্ষুন্নীবৃত্তি নিবারণ হয় এদেশ থেকে পণ্য গেলে,সেদেশের মানুষের এই বেইমানি অনেকেই কটাক্ষ করছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ কিচোখে দেখছেন এই ভারত বিরোধীতাকে। সেই প্রশ্নই বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষকে বাংলা জাগোর প্রতিনিধি তুলে ধরেন।সেদেশের মানুষেরা এপারে চিকিত্সা করাতে এসেছেন।মারকিউ স্ট্রিটে থাকা ওপারের মানুষেরা একবাক্যে জানিয়ে দেন,কখনই তাঁরা কলকাতা দখল করতে চান না।
রাজনীতির কারবারীরা রং চড়িয়ে সেদেশে দ্বেষ ফেরি করছে।সাধারণ মানুষ কখনই এই ধরণের হিংসা বা বিদ্বেষের জন্ম হক চায় না।তাই বাঙালির সংস্কৃতিও শিকড়ের টানে বাংলাদেশের মানুষ বলছেন,বন্ধ হোক এই ধরণের ঘটনা।যেটুকু সংখ্যালঘু নিপীড়ন হচ্ছে তা দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করছেন তাঁরা।
ভারতবিরোধিতার উগ্র রূপ তুলে ধরছেন বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মানুষ। ইসকনের সন্নাস্যী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকেই নতুন করে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। ভারত বিরোধিতায় একাধিক পদক্ষেপ করছে ইউনূস সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন কর্মী। ভারতের বিরোধিতা করে মিছিল করেন সেদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। তাই সেনার মদতপুষ্ট ভারত বিরোধিতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মোটেই ভালো চোখে দেখেন না। কারণ তাঁরা জানেন এপারে এল ভালো চিকিত্সা, ভালো ব্যবহার মেলে। যা পাকিস্তান অন্যদেশ কোনওদিনই দিতে পারবে না। ক্যামেরায় সৌমেন ঘোষালের সঙ্গে দেবরাজ হালদারেররিপোর্ট।