কলকাতা

দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জনের পর জলদূষণ রুখতে তৎপর পুরপ্রশাসন! কড়া নজরদারি গঙ্গার ঘাটে

Durga Pujo immersion

The Truth of Bengal:পুজোর পর রীতিমেনে গঙ্গায় ঠাকুর বিসর্জন করা হয়।ঠাকুর নিরঞ্জনের পর যাতে স্রোতসিনী গঙ্গার প্রবাহে দূষণের ছায়া না পড়ে সেজন্য কলকাতা পুরসভা প্রথম থেকে সজাগ-সক্রিয়।এবারও অত্যন্ত তত্পরতার সঙ্গে সমস্ত প্রতিমা গঙ্গা থেকে তুলে ফেলা হয়।তিলোত্তমার পরিবেশ দূষণ রোধের মতোই জলদূষণ রুখতেও পুরপ্রশাসনের বহুমুখী ভাবনার স্পষ্ট রূপায়ণ দেখা যায়।বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সবের যাতে পবিত্র নদীতে আবর্জনা বা কোনও বর্জ্যের দেখা না মেলে সেজন্য ঘাটে ঘাটে কড়া নজরদারি বহাল রাখে কলকাতা পুরসভা।

. ৩৪টি ঘাটে দ্রুত ঠাকুরের কাঠামো তুলে ফেলার ব্যবস্থা

. ৩০টির বেশি ডাম্পার ও ক্রেন প্রতিমা তোলার কাজে ব্যস্ত

. বাজাকদমতলা,নিমতলা,গোয়ালিয়র  সহ ৪টি ঘাটে রাখা হয় ডুবুরি

. ১৫টি ঘাটে বিসর্জন পর্ব ক্যামেরা বন্দি করতে রাখা হয় সিসিটিভি

. দুর্ঘটনা ঘটলেই  তত্পরতার সঙ্গে উদ্ধারে যুক্ত রেসকিউ টিম

. ৫০টি লাইফবোট গঙ্গায় ঘুরে বেড়িয়ে চালায় নজরদারি

প্রতিমা গঙ্গায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা তোলার জন্য ডাম্পার-ক্রেনের মতোই রাখা হয়েছে বিশেষ লঞ্চ। মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বিশ্বজনীন উত্সবের অন্তিমপর্বের ব্যবস্থপনার কথা তুলে ধরেন।বিজয় দশমীর সকাল থেকে শুরু করে একাদশীর সকাল  পর্যন্ত ৪৫০ এরও বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।একাদশীতে আরও বেশকিছু প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ায় সংখ্যাটা ৬০০ ছুঁইছুঁই হ তে পারে বলে পুরকর্তাদের আশা।  মঙ্গলবারের মতোই বুধবারও  নির্বিঘ্নে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে   প্রতিমা নিরঞ্জন এর কাজ চলে পুরোদমে। কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা দিনরাত এক করে এই কাজকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য আদা জল খেয়ে পড়ে রয়েছেন গঙ্গার ঘাট গুলিতে।একাদশীর  সকালে  কলকাতার গঙ্গা  সংলগ্ন ঘাট গুলিতে প্রতিমা নিরঞ্জন এর কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে কিনা তা পর্যালোচনা করতে উপস্থিত হন কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার। দীর্ঘক্ষণ পুরপ্রতিনিধিরাও  বাজা কদমতলা ঘাটে বসে পর্যবেক্ষণ করেন নিরঞ্জনের   কাজকর্ম।পুলিশ কর্মীরাও নিরাপত্তা থেকে নজরদারি সবেতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সবমিলিয়ে পুজোর ক্রাডট ম্যানেজমেন্টে থেকে নিরঞ্জন পর্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার পুরতাগিদ দেখে খুশি পরিবেশপ্রেমীরা।

Free Access

Related Articles