
The Truth Of Bengal: যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে,তার দখল নিতে এসেছি।ইনসাফ চেয়ে লড়াইতে নেমেছি,পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। রবিবার ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে এভাবেই দলীয় কর্মীদের ডাক দেন ডিওয়াই এফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়।রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও কেন্দ্রে বিজেপির সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম বলে ব্রিগেড থেকেই শুরু হল লড়াই।
১৬বছর পর ব্রিগেডে জমায়েত করে শক্তি দেখাল বামেরা।সিপিএমের যুবসংগঠন ডিওয়াইএফআই ইনসাফ যাত্রার শেষে এই সমাবেশে সামিল হয়। ৩নভেম্বর কোচবিহার থেকে ইনসাফ যাত্রা শুরু হয়।সেই ইনসাফ যাত্রার শেষে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ কার্যতঃ বামেদের লড়াইয়ের হাত শক্ত করবে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।জেলা থেকে কলকাতা, ব্রিগেডে মিশে যায় যেন সব পথ। শিক্ষা ,রেশন দুর্নীতির অভিযোগ করে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিরোধী শিবিরের নেতারা।হাইভোল্টেজ লোকসভার আগে গণ-সংগঠনকে সামনে রেখে সিপিএম কর্মীদের ভোকাল টনিক দেওয়ার চেষ্টা করে। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফে়ডারেশনের ব্যানারে এই সভা হয়।সভার ক্যাপ্টেন হয়ে ওঠেন মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়।তাঁর কন্ঠে শোনা যায়,খেলা হবের রাজনৈতিক বদলার কথা।
তিনি কটাক্ষ করেন,যাঁরা বামেদের শূন্য বলেন তাঁরা অবোধ।রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা বেচে দেওয়া থেকে শুরু করে ভ্রান্ত কেন্দ্রীয় নীতির প্রবল সামালোচনাও করেন মীনাক্ষ্মী। তাঁর মতোই অন্যান্য নেতৃবৃন্দ একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে শানিত আক্রমণের মাঝেই সুর চড়ান সিপিএম নেতারা । হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটের আগে, এই জনজমায়েত কর্মসূচিকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কর্মী-সমর্থকদের ভিড়েঠাসা সভায় দাঁড়িয়ে ডাক দেন,.ব্রিগেড থেকে শুরু হওয়া ইনসাফের লড়াইকে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সেলিম দলীয় কর্মীদের লড়াকু মনোভাবকে চাঙ্গা রাখার আহ্বান জানান।তাঁর খোলা আহ্বান,৫৬ নয়, ৩৫৬ নয়, মুষ্টিবদ্ধ হাত যদি আকাশের দিকে তুলে ধরা যায় তাহলে বিচার মিলবে।সিপিএম যখন ব্রিগেডকে সামনে রেখে তৃণমূল –বিজেপির সমালোচনা করছে,তখন তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করেন,আগেও ব্রিগেড ভরানোর চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু বাংলার মানুষের মনে জায়গা করতে পারেনি সিপিএম।
Free Access