কলকাতা

Big Breaking: আপাতত চাকরি বাতিল হচ্ছে না ২৬ হাজারের, পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই

26,000 jobs are not being canceled for now, the next hearing is on July 16

The Truth of Bengal: যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করলে  পুরো প্যানেল বাতিল নয়.সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট।এসএসসি কর্তৃপক্ষ জানায় ১৯হাজার  যোগ্য চাকরি প্রাপকের তথ্য রয়েছে। এসএসসির চাকরি প্রাপক ৮হাজার ৩২৪জনের নিয়োগ অবৈধ।এমনই মন্তব্য করেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা।এসএসসির তরফে জয়দীপ গুপ্ত যুক্তি দেন,হাইকোর্টের কোনও এক্তিয়ার নেই এই চাকরি বাতিলের। সেসময় শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এসএসসির চাকরি বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে   স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে ।ফলে আপাতত চাকরি বাতিল হচ্ছে না।আইনজ্ঞরা মনে করছেন,এতে রাজ্যের আবেদন গৃহীত হল সুপ্রিমকোর্ট।   শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সহ অন্যান্যরা তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানান,যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করলে  পুরো প্যানেল বাতিল নয়। প্যানেল বাতিলের অভিঘাত সমাজে পড়বে,বার্তা দেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা।সুদ সহ বেতন ফেরতেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের তরফে।  ১৬জুলাই এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু হয়।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিসন বেঞ্চের এজলাসে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি শুরু হয়।  সেসময় এসএসসি জানায় প্রায় ১৯হাজার চাকরি প্রার্থীর তালিকা তাঁদের কাছে রয়েছে।তাঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য চাকরি প্রার্থী।সমস্ত তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে বলে এসএসসির তরফে জানানো হয়। সেসময় আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়,বাকিরা কীভাবে নিয়োগ হলেন ? তাঁদের কী প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে এসএসসির কাছে ?চাকরি বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।সেসময় বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন,যদি ৮হাজারের কাছে বেআইনি নিয়োগ হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল হল কেন ? এসএসসির কাছে বেঞ্চ আরও জানতে চান,যোগ্য-অযোগ্য বিচার কিকরে করা হবে। রাজ্য,এসএসসি,চাকরিহারাদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর  প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দেন, এসএসসির ৮হাজার ৩২৪ চাকরি প্রাপকের নিয়োগ অবৈধ।কিছু নিয়োগ অপরাধমূলক কাজের জন্য হয়েছে। কারণ ওএমআর ডেটার সঙ্গে এসএসসির তথ্যের সামঞ্জস্য নেই।নাইসার মতো এজেন্সি আবার সাব এজেন্সিকে ওএমআর তৈরির বরাত দেয় বলে জানা গেছে।  এদিন সওয়াল জবাবের সময় এসএসসি স্থগিতাদেশ চায় সুপ্রিমকোর্টের কাছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন,  সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী বিবেচনা করব। তার আগে  কোনও শর্ত ছাড়া স্থগিতাদেশ দিতে আগ্রহী নয়।’’ বিচারপতি পারদিওয়ালা জানান, ‘‘যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা   খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই শীর্ষ আদালত এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখার পর জুলাইয়ে বিস্তারিত শুনানি  হবে  বলে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে।

Related Articles