
Truth of Bengal: কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। মানবিক পথে প্রকৃত প্রাপকদের তালিকা তৈরির জন্য চলছে সমীক্ষা। কয়েকদিন ধরে এই আবাসের সমীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।এবার স্বচ্ছতার সঙ্গে সমীক্ষার জন্য নবান্ন থেকে ১১দফা নির্দেশিকা জারি করা হল। মূলতঃ রাজনৈতিক দলও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে এই প্রয়াস বলেও জানানো হয়েছে। নানা অজুহাতে কেন্দ্র টাকা দিতে নারাজ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি বাংলার গৃহহীনদের মাথায় ছাদ তৈরির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় রাজ্য সরকার। সেজন্য ১১লক্ষের ওপর বাড়ি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের শর্ত না মেনেই রাজ্যের আর্থিক সংস্থানের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যপূরণে শুরু হয়েছে জেলায়- জেলায় সমীক্ষা। কিন্তু সমীক্ষায় সময় নানামহলে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় নবান্নের তরফে
‘আবাস যোজনা রাজ্য সরকারের প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো রাজ্য সরকার আবাস নির্মাণে মানবিকভাবে কাজ করছে। আইন মাফিক যাঁদের নাম তালিকায় থাকবে তাঁরা অবশ্যই আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন।’ বিষয়টি নিয়ে সোমবার উচ্চপদস্থ অফিসারদের বৈঠক হয়। এরমধ্যে আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা বা না থাকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে।স্বচ্ছতার সঙ্গে বাড়ি তৈরির লক্ষ্যে জারি করা হল ১১দফা নির্দেশিকা।
১• রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ভুল বোঝাবুঝি দূর করা প্রয়োজন। তালিকায় থাকার নাম যাচাই করা হচ্ছে আইন মোতাবেক। পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল থেকে নাম যাচাই করতে হবে
২• কাদের নাম বাতিল হয়েছে, তা যথাযথ পরীক্ষা করতে হবে। পাকা বাড়ি নিয়ে যথাযথ আইনি ব্যাখ্যা করতে হবে। পাশাপাশি সমীক্ষকদের সন্দেহ হলে ফের তা যাচাই করার নির্দেশ
৩• অভিযোগ নিঃষ্পত্তি সেল থেকে আসা নাম গুরুত্ব সহকারে যাচাই করতে হবে
৪• উপভোক্তাদের নাম, ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য এবং বিশেষ আইডি নম্বর নথিভূক্ত করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
৫• পুলিশ স্বাধীনভাবে তালিকা যাচাই করতে পারবে। প্রশাসন তাঁদেরকেও তালিকা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সাহায্য করবে।
৬• প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর বিশেষ উদ্যোগ নেবে। কী পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি হচ্ছে তা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে জানাতে হবে।
৭• আবাস যোজনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। প্রয়োজনে এলাকায় মাইকিং করে জানাতে হবে।
৮• নামের তালিকা যাচাই করার পর সমস্ত তথ্য এবং উপভোক্তার চয়ন বা বাতিলের বিষয়টি ভিডিওগ্ৰাফি করার নির্দেশ
৯• ‘সুপার চেকিং’ এর ক্ষেত্রে সমীক্ষকদের আরও সতর্ক হতে হবে। গ্রাউন্ড লেভেল ভিজিট করে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করতে হবে সমীক্ষকদের।
১০• গ্রাম পঞ্চায়েত, অঞ্চল ভিত্তিক তালিকা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। ২০২২ সালের সমীক্ষার ভিত্তিতে তালিকা নিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
১১• গ্রাম সভা ও ব্লক লেবেল কমিটির অনুমোদন সম্বোলিত সমস্ত নথি সংরক্ষণ করতে হবে।
সবমিলিয়ে বলা যায়,আবাস নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বাংলার সরকার যে আন্তরিক তা এই কড়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট হল বলা যায়।