
The Truth of Bengal,Mou Basu: লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য ক্লার্কশিপ পরীক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া। তবে আবেদনের আগে কমিশনের ওয়েবসাইট ”https://wbpsc.gov.in” মারফত আবেদনকারীর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন সচিবালয়, ডিরেক্টরেট, জেলা দফতর ও আঞ্চলিক দফতরে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক বা অ্যাসিসট্যান্ট পদে নিয়োগের জন্য ২ দফায় পরীক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। প্রথম বার অবজেক্টিভ টাইপ পরীক্ষা নেওয়া হবে। যে সব চাকরিপ্রার্থী এই পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁরাই পরের ধাপের লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই ২ ধাপের পরীক্ষায় পাশ করলেই সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের কম্পিউটারে জ্ঞান ও কম্পিউটারে টাইপ করার দক্ষতা যাচাই করা হবে।
কলকাতা ছাড়া বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, ব্যারাকপুর, বারাসত, হাওড়া, চুঁচুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, মেদিনীপুর, তমলুক, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, সিউড়ি, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, মালদহ, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা তপশিলি উপজাতি চাকরিপ্রার্থীরা ও দার্জিলিং সদর, মিরিক ও কার্শিয়াং জেলার বাসিন্দারা দার্জিলিংয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবেন। কালিম্পং জেলার চাকরিপ্রার্থীরা কালিম্পং কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবেন। চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। ২৯ ডিসেম্বর বেলা ৩টে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন জমা করা যাবে। ২৯ ডিসেম্বর বেলা ৩টে পর্যন্ত অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে। অফলাইনে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফি জমা দেওয়া গেলেও চালান কাটতে হবে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই। অনলাইনে আবেদনের সময় সমস্ত খেয়াল রেখে নথিপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করতে হবে। ”Final Submission’ বোতাম টেপার আগে সব দেখে নিন। বোতাম টেপার পর আর কোনো তথ্য এডিট করা বা চেঞ্জ করা যাবে না। হেল্প ডেস্ক নম্বর: ০৩৩-৪০৫৮-৫৬৪০ (সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে)।
পে স্কেল: ২২,৭০০-৫৮,৫০০ টাকা। মহার্ঘ ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা মিলবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা সমতুল্য বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ। এক মিনিটে ইংরেজিতে ২০টা শব্দ ও ১০টা বাংলা শব্দ টা-ই করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বয়স হতে হবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির নিরিখে ১৮-৪০ বছরের মধ্যে। তপশিলি জাতি ও উপজাতি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বয়সে ৫ বছর আর ওবিসি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বয়সে ৩ বছর ছাড় থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তপশিলি জাতি ও উপজাতি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ থাকবে। অন্য রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতি চাকরিপ্রার্থী আর ওবিসি চাকরিপ্রার্থীদের জেনারেল ক্যাটাগরির চাকরিপ্রার্থী হিসাবে গণ্য করা হবে। শারীরিক বিশেষ ভাবে সক্ষম, প্রাক্তন সেনাকর্মী, আর্থিক ভাবে দুর্বল ও দক্ষ খেলোয়াড়দের জন্য সংরক্ষণ থাকবে।
একই চাকরিপ্রার্থী একাধিক আবেদন করলে সব আবেদন বাতিল করা হবে।
আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে ও বলতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। নেপালি মাতৃভাষা হলে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। বাংলা ও নেপালি মাতৃভাষা নয় এমন চাকরিপ্রার্থীদের বাংলা ভাষার জ্ঞান যাচাই করা হবে। বাংলা ভাষায় দক্ষতার পরীক্ষায় পাশ না করলে চাকরির আবেদন গ্রাহ্য হবে না।
আবেদন মূল্য ১১০ টাকা। অনলাইনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড মারফত পেমেন্ট করলে আবেদন মূল্যের ১% সার্ভিস চার্জ লাগবে। নেট ব্যাঙ্কিং করলে ৪ টাকা ৯০ পয়সা সার্ভিস চার্জ আর সরাসরি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে টাকা জমা দিলে ১৭ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি বা বাংলায় লিখতে হবে। এক রকম ভাষাতেই লিখতে হবে। মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্নে ভুল দিলে উত্তরপিছু ০.২৫ নম্বর কেটে নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্ন আসবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০। ইংরেজি, জেনারেল স্টাডিজ ও এরিথমেটিকের ওপর অবজেক্টিভ টাইপ প্রশ্ন আসবে। দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় গ্রুপ এ ইংরেজি আর গ্রুপ বিতে বাংলা/হিন্দি/উর্দু/নেপালি/ সাঁওতাল ভাষায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার দিন আসল সচিত্র পরিচয়পত্র আনতে হবে। (মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার সচিত্র শংসাপত্র, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের দেওয়া কোনো সচিত্র পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হবে)।