সাংগ্রিলা বৈঠকে বাক-যুদ্ধ ভারত ও পাক সেনার, কড়া বার্তা দু’পক্ষের

Truth Of Bengal: সিঙ্গাপুরের সাংগ্রিলা বৈঠকে বাক-যুদ্ধ ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক ও পাকিস্তানি সেনার শীর্ষকর্তা জেনারেলের। দুজনেই একে অপরকে সতর্ক করেছেন এবং যুদ্ধের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানিয়েছেন। একদিকে অনিল চৌহান জানিয়েছেন যে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সহ্যের সীমার লাল দাগ টানা হয়েছে। অন্যদিকে, শাহিদ সমশাদ মির্জা উপত্যকা সমস্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে, দুই পক্ষই একে অপরকে করার বার্তা দিয়েছে।

সিঙ্গাপুরে আয়োজন করা হয় সাংগ্রিলা বৈঠকের, যেখানে মূলত আলোচনা হয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। ছিলেন পাকিস্তানি সেনার শীর্ষকর্তা জেনারেল শাহিদ সমশাদ মির্জ়াও। দুজনেই বৈঠকে একে অপরকে আক্রমণ করে সতর্ক করেন। সম্প্রতি, দুই দেশের মধ্যে হওয়া যুদ্ধ নিয়েই বক্তব্য রাখেন দুজনে। বলা যায়, একপ্রকার মৌখিক লড়াইয়ে জরায় দু’পক্ষ।

অনিল চৌহান বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সহ্যের সীমার লাল দাগ টেনেছি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আশা করি কিছু শিক্ষা নেবে এর থেকে আমাদের প্রতিপক্ষরা। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে প্রক্সি ওয়ার চলছে এবং দেশের বহু সাধারণ মানুষ এর জন্য প্রাণ হারিয়েছেন। এবার এটা বন্ধ করতে চাই আমরা।” এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহিদ সমশাদ মির্জ়া বলেন, “ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের কোন ব্যবস্থা নেই ভারতের চরমপন্থী রাজনীতিতে। ভবিষ্যতে সংকটে হস্তক্ষেপ বা মধ্যস্থতা না করারও সময় পেতে পারে বিশ্বশক্তিগুলি এবং সেক্ষেত্রে এড়ানো যাবেনা ধ্বংসলীলা। সন্ত্রাসবাদের কারণে আমাদেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।”

উল্লেখ্য, পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলা ও হত্যার পর অপারেশন সিঁদুর চালানো হয় ভারত সরকারের তরফ থেকে। এতে পাকিস্তানের একাধিক বায়ু সেনাঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে একাধিক জঙ্গি ও পাক সেনার। অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে এবং শাহবাগ শরীফের কাতর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত।