
The Truth of Bengal: রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি তেল সংরক্ষণাগারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে ওই তেল সংরক্ষণাগারে আগুন লেগে যায়। শুক্রবার কিয়েভের পক্ষ থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়। রাশিয়ার অভ্যন্তরে কিয়েভের এই হামলা দুই দেশের মধ্যে লড়াইয়ে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কিয়েভ দাবি করেছে, রুশ তেল সংরক্ষাগার লক্ষ্য করে এটা তাদের দ্বিতীয় ড্রোন হামলা। তাদের এ হামলা যৌক্তিক। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা এ হামলা করেছে। ইউক্রেনের হামলায় সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরে রাশিয়ার ক্লিন্তসি শহরে চারটি তেল সংরক্ষণাগারে আগুন লাগে। এর মধ্যে কিয়েভের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের রোসনেত তেল ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। চারটি সংরক্ষণাগারে প্রায় ছয় হাজার ঘন মিটার তেল ছিলো।
পুতিন দাবি করে আসছেন, ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাশিয়ার জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অঙ্গীকার করেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের গভীরে চলতি বছরে আরও বেশি করে হামলা চালানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিশ্রুতিকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে ও জনসমর্থন কমাতে রাশিয়ার ভেতরে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে মনোযোগ দিচ্ছে।
ফলে রাশিয়ার গভীরে ইউক্রেনের আক্রমণ করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিয়েভ নিজেরাই দূরপাল্লার ড্রোন উদ্ভাবন করেছে। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রুশ শহর বেলগোরোড ঐতিহ্যবাহী অর্থোডক্স এপিফ্যানি উৎসব বাতিল করেছে। শুক্রবার এই উৎসব আয়োজন করার কথা ছিলো। ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার হুমকির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এই প্রথম রাশিয়ার ভেতরে কোনো স্থানে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার হুমকিতে কোনো বড় অনুষ্ঠান বাতিল করা হলো।