পরমাণু চুক্তির আগে পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সেনার তৎপরতা বৃদ্ধি, জল্পনা তুঙ্গে
U.S. military builds up in West Asia ahead of nuclear deal

Truth of Bengal: শনিবার আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে চলেছে। তার ঠিক আগেই পশ্চিম এশিয়ায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। এই তথ্য জানানো হয়েছে মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টিকম)-এর এক্স (পূর্বতন টুইটার) পোস্টে। এরপর থেকেই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আগে থেকেই মোতায়েন রয়েছে ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান নামের আর একটি বিমানবাহী রণতরী। এবার তার সঙ্গেই যোগ দিচ্ছে ইউএসএস কার্ল ভিনসন। যদিও সেন্টিকম বলছে, এটি হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই পাঠানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক বিবৃতিতে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার স্পষ্টভাবে বলেছেন, যদি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে আমেরিকা।
গত ১৫ মার্চ থেকে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করেছে আমেরিকা। কিন্তু অনেক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকের প্রশ্ন, হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযানে এতো বড় সামরিক শক্তি, বিশেষ করে ইউএসএস কার্ল ভিনসনের মতো যুদ্ধজাহাজ এবং এপথ-৩৫ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান, আদৌ প্রয়োজন ছিল কি?
তাঁদের মতে, ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই শক্তি প্রদর্শনের পথ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, যাতে পরমাণু আলোচনায় তেহরান মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়।