আন্তর্জাতিক

বিজয় দিবসের আয়োজন মুক্তি যুদ্ধের সেনা দের শ্রদ্ধার্ঘ্য

Tribute to the soldiers of the liberation war

The Truth of Bengal: পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের জন্ম আলাদা ছাপ রেখেছে। শুধু ভাষার জন্য একটি রাষ্ট্রের জন্ম বিশ্ববাসীর কাছে আলাদা নজির গড়ে তোলে। ইতিহাস বলছে,পাকিস্তানের খান সেনাদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তখন লড়াই শুরু করে ওপার বাংলার মানুষ।তবুও ভারী বুটের আওয়াজ আর হাজার হাজার নারীর সম্ভ্রমের আর্তনাদে সেই মুক্তি সংগ্রামকে স্তব্ধ করার হাজারো প্রয়াস নেওয়া হয়। আমেরিকা,চিন পাকিস্তানের দিকে থাকলেও ভারত একমাত্র মানবিকতা ও বিবেকের কন্ঠস্বর জাগ্রত করে। পাশে দাঁড়ায় মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রামীদের। সোভিয়েত ইউনিয়নও ধর্মান্ধ, খান সেনাদের পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খোলে।

ভাষাভিক্তিক দেশ গড়ার সেই লড়াই অবশেষে জয় হয়। ১৯৭১এ ভারতীয় সেনার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সেনা। ১৯৭১ সালে ১৬ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ্‌ খান নিয়াজি ঢাকার রমনা রেসকোর্সে জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।বিজয় দিবসের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয় ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয়দিবসের আয়োজন করেছে। বিজয় দিবসের উদ্বোধন করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষে ছিলেন মহম্মদ মোমিন ঊল্লা পাটোয়ারি।তিনি  ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেন। কাজি জাইনুল আবেদিন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেতে ভারতবর্ষ যেভাবে সাহায্য করেছে তার জন্য তাঁরা চিরকৃতজ্ঞ। ভারতীয় সেনার পক্ষে বিগ্রেডিয়ার আজিত আপ্তে, ব্রিগেডিয়ার প্রকাশ টি ঘোকলে,লেফটনেন্ট জেনারেল জে এস চিমা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে আর মুখার্জী সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা ৭১ যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।ভাষা শহিদদের অবদান থেকে ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগ দুপারের মানুষের আবেগকে যেন আরও একবার একসূত্রে গাঁথা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

Related Articles