ইজরায়েলের ড্রোন হামলায় খতম হামাসের শীর্ষ নেতা আব্দ আল হাদি সাবা
Top Hamas leader Abd al-Hadi Saba killed in Israeli drone strike

Truth Of Bengal: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড হামাসের নুখবা প্লাতুন কমান্ডার আব্দ আল হাদি সাবাকে ড্রোন হামলায় খতম করেছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলি সেনার দাবি, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খান ইউনিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হয়।
🔴Abd al-Hadi Sabah, a Nukhba Platoon Commander in the Western Khan Yunis Battalion was eliminated in an intelligence-based IDF and ISA strike.
Abd al-Hadi Sabah—who operated from a shelter in the Humanitarian Area in Khan Yunis—was one of the leaders of the infiltration into… pic.twitter.com/KMC5HAXNfA
— Israel Defense Forces (@IDF) December 31, 2024
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘খান ইউনিস এলাকায় এই অভিযানে আইডিএফ (ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) এবং আইএসএ (ইজরায়েলি সিক্রেট এজেন্সি) যৌথভাবে কাজ করে। নুখবা প্লাতুনের এই কমান্ডার ৭ অক্টোবরের হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। কিবুৎজ নির ওজে এলাকায় যে হত্যালীলা এবং অপহরণ ঘটেছিল, তার প্রধান পরিকল্পক ছিল আব্দ আল হাদি সাবা।’
ইজরায়েলের দাবি, গাজার খান ইউনিসের একটি মানবাধিকার অঞ্চলের শিবিরে লুকিয়ে কাজ চালাত এই জঙ্গি নেতা। এর আগেও গাজায় নুখবার আর এক কমান্ডার বিলাল আল কেদরাকে বিমান হামলায় খতম করেছে ইজরায়েল। এবার আব্দ আল হাদি সাবার নামও সেই তালিকায় যুক্ত হল।
৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। এর আগে হামাস প্রধান সিনওয়ার ও শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকেও হত্যার দাবি করেছে ইজরায়েল। তাদের হুঁশিয়ারি, ‘ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যে মাথা তুলবে, তাকে ধ্বংস করা হবে।’
এই অভিযানের ফলে গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত এক বছরে ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত গাজার ৩৯টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৩৬টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।