আন্তর্জাতিক

Murang Family: মানুষ না কি ভিনগ্রহী? দিনে দিনে বদলায় মুখের আদল, মুরাং পরিবারকে ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

দাবি করা হচ্ছে, প্রতিদিন এই মানুষগুলোর মুখের আদল বদলে যায়। সকালের চেহারার সঙ্গে সন্ধ্যার চেহারার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

Truth of Bengal: পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নানা রহস্যের মাঝে কিছু ঘটনা বিজ্ঞান এবং যুক্তিকেও হার মানায়। এমনই এক অবিশ্বাস্য ও শিহরণ জাগানো তথ্য সামনে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার মুরাং পরিবারকে কেন্দ্র করে। এই পরিবারের সদস্যদের শারীরিক গঠন এবং মুখের অবয়ব নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর রহস্য। দাবি করা হচ্ছে, প্রতিদিন এই মানুষগুলোর মুখের আদল বদলে যায়। সকালের চেহারার সঙ্গে সন্ধ্যার চেহারার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এই অদ্ভুত পরিবর্তনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং অনেকেই তাঁদের সাধারণ মানুষ বলতে নারাজ।

ইন্দোনেশিয়ার একটি দুর্গম পাহাড়ি এবং জঙ্গলঘেরা এলাকায় বসবাস করে এই মুরাং পরিবার। উন্নয়নের ছোঁয়া না পৌঁছানো এই অঞ্চলে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবাও অত্যন্ত সীমিত। বছরের পর বছর ধরে গ্রামবাসী এই পরিবারটিকে দেখে এলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের প্রতি রহস্য ও ভীতি ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। সেখানকার মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে এই পরিবারের সদস্যরা সাধারণ মানুষের মতো নন, বরং তাঁদের চেহারার সঙ্গে টিকটিকি বা সরীসৃপের মিল রয়েছে। লোকমুখে তাঁরা এখন টিকটিকি সদৃশ মানুষ হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চিকিৎসক এবং গবেষক মহলে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। একদল বিশেষজ্ঞ এই রহস্যের কিনারা করতে মুরাং পরিবারের সদস্যদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে একে অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত কোনো বিষয় বলে মনে করা হলেও চিকিৎসকদের গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য কিছু। তবে তাঁদের প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্ট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। চিকিৎসকরাও এক প্রকার ধন্দে পড়ে গিয়েছেন যে কীভাবে একজন মানুষের মুখচ্ছবি দিনে দিনে এভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও অন্ধবিশ্বাস জেঁকে বসলেও বিজ্ঞানীরা একে একটি বিরল জিনগত সমস্যা বা অজানা কোনো শারীরিক অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা এই ঘটনাটি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ছাড়িয়ে সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছে। দুর্গম পরিবেশে বসবাসকারী এই পরিবারের রহস্য উন্মোচনে এখনও গবেষণা চলছে।